ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কৃপণতা পরিহার করা অপরিহার্য

প্রকাশিত : ১২:৪৮, ১২ মে ২০১৯

মানুষের একটি মনোরোগ হলো কৃপণতা করা। এটি দুনিয়ার প্রতি আসক্তি থেকে সৃষ্ট। একে দূর করতে হলে এই কথা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে যে, দুনিয়া অতি নগণ্য বস্তু। এটি একসময় ধ্বংস হয়ে যাবে। দুনিয়ার হালাল বস্তুসমূহের হিসাব নেওয়া হবে। হারাম বস্তুসমূহের জন্য শাস্তি দেওয়া হবে।

আল্লাহ তায়ালা এ ব্যাপারে ইরশাদ করেন, ‘দুনিয়ার জীবন হলো কেবলই ধোকার বস্তু।’ (সূরা আল-ইমরান ১৮৫)

সুতরাং দুনিয়ার ব্যাপারে কৃপণতা করবেন না। বরং দান-খয়রাত করতে সচেষ্ট থাকবেন। নিজ সময়ের প্রয়োজন মিটানোর জন্য যতটুকু দরকার ঠিক ততোটুকু জিনিসই রাখবেন। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে বেলাল, তুমি খরচো করো এবং আরশের অধিপতির ব্যাপারে কমিয়ে দেওয়ার ভয় করো না।’ (শুআবুল ঈমান ১৩৯৩)

ধন-সম্পদ খরচ না করে পুঞ্জিভূত করে রাখা মানুষের একটি মন্দ স্বভাব। মানুষের জীবন বিনাশ হওয়া থেকে নিরাপদ নয়। তার মৃত্যু অতি সন্নিকটে। যদি এমনটি না হতো তখন মানুষ তার সুনিশ্চিত জীবনের পরিমাণ অনুসারে সম্পদ পুঞ্জিভূত করে রাখতে পারতো এবং তার হায়াতের সীমা অনুপাতে সম্পদ দান করা থেকে বিরত থাকতে পারতো। যে ব্যক্তির সাধারণ একটি নিঃশ্বাসের নিশ্চয়তা নেই তার জন্য সম্পদ পুঞ্জিভূত করে রাখা এক ধরনের ধোঁকাগ্রস্ত হওয়ারই নামান্তর।

অন্যকে সম্পদ দান না করে নিজে কষ্ট করে তা আগলে রাখা হল এক ধরনের মূর্খতা। অথচ রাসূলে করীম (সা.) থেকে বর্ণিত আছে, সাহাবায়ে কিরামকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে, যে নিজের সম্পদের তুলনায় উত্তরাধিকারীর সম্পদকে বেশি ভালোবাসে?’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আমাদের সকলের কাছেই উত্তরাধিকারীর সম্পদের তুলনায় নিজের সম্পদ অধিক প্রিয়।’

তখন রাসূল (সা.) বললেন, ‘জেনে রাখো, তোমাদের প্রত্যেকেই এমন যে, উত্তরাধিকারীর সম্পদই তার কাছে নিজের সম্পদের তুলনায় অধিক প্রিয়। তুমি যা দান করেছো সেটিই কেবল তোমার সম্পদ। আর তোমার উত্তরাধিকারীর সম্পদ হলো তা, যা তুমি (দুনিয়াতে) রেখে গেলে।’ (মুসনাদ আহমাদ ৩৬২৬)

তথ্যসূত্র : আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী, অনুবাদ- আবদুল্লাহ আল মাসউদ, আত্মশুদ্ধি গ্রন্থ থেকে

এএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি