ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

শেয়ার ও বন্ডের যাকাত

প্রকাশিত : ১৫:৪৩, ১৩ মে ২০১৯

শেয়ারের যাকাত অ্যাকাউন্টিং সম্পর্কে সৌদি আরবের সাবেক গ্রান্ড মুফতী শেখ সালিহ আল-উসাইমীন বলেছেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি ব্যবসার উদ্দেশ্যে শেয়ার ক্রয় করে, এ অর্থে যে সে আজ শেয়ার ক্রয় করে আগামীকাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে, তবে এ জাতীয় শেয়ারের মূল্যের এবং তা থেকে প্রাপ্ত মুনাফার যাকাত প্রতিবছর প্রদান করবেন। কিন্তু যদি শেয়ার কেনার মূল উদ্দেশ্য হয় বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্ব এবং ব্যক্তি তা বিক্রি করে দেয়ার অপেক্ষায় থাকে না, তবে এ থেকে প্রাপ্ত নগদ অর্থ, স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদির যাকাত প্রতি বছরান্তে প্রদান করবেন। আর যদি ব্যক্তি শেয়ারের বিপরীতে বছরান্তে কোন পণ্য বা সুবিধা পায় যা অর্থকড়ি বা স্বর্ণ-রৌপ্য নয়, তবে তাতে যাকাত নেই। বরং বছরান্তে এর কারণে যেসব সুবিধা পাবেন তার ওপর যাকাত প্রযোজ্য হবে।’

বিভিন্ন ধরনের বন্ড হলো এমন একটি প্রত্যয়নপত্র যা ইস্যুকারীর বাহককে গায়ে লেখা মূল্য (ফেস ভ্যালু) প্রদান করতে বাধ্য থাকে যখন সে তার হকদার হয়। সঙ্গে সঙ্গে বন্ডের মূল্যের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক অতিরিক্ত লাভও প্রদান করা হয়। এটি পরিষ্কার সুদ ও হারাম। সে হিসেবে সাধারণভাবে লেনদেনকৃত বন্ড অবৈধ; কেননা তা এমন একটি ধার (ঋণ), যার সঙ্গে সরাসরি লাভ যুক্ত রয়েছে। যারা এ ধরনের লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদের উচিত আল্লাহর কাছে তওবা করা।

বন্ডের যাকাতের হুকুম ঋণের যাকাতের মতোই। নিসাব পরিমাণ হলে এতে যাকাত ফরজ হবে। অথবা বন্ডধারী ব্যক্তির অন্যান্য সম্পদ, যেমন টাকা-পয়সা, ব্যবসায়িক পণ্য ইত্যাদি একসঙ্গে মিলে যদি নিসাব পরিমাণ হয় এবং একবছর অতিবাহিত হয়, তাহলে তাতে যাকাত ফরজ হবে এবং ২.৫% হারে যাকাত দিতে হবে। আর যদি বন্ড এমন হয় যা সুনির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ভাঙ্গানো যাবে না, এমতাবস্থায়ও যাকাত রহিত হবে না, বরং যখন ভাঙ্গানো যাবে তখন বিগত সব বছরের যাকাত প্রদান আবশ্যক হবে।

গায়ে লেখা মূল্য (ফেস ভ্যালু) প্রদান করে কেউ প্রাইজবন্ড ক্রয় করে থাকলে এবং তা তার কাছে এক বছর জমা থাকলে তার ওপর তাকে যাকাত দিতে হবে। কারণ প্রাইজবন্ড নগদ টাকার মতই যা যে কোন সময় ভাঙ্গানো যায়।

তথ্যসূত্র : সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি