ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চাঁদে ঘরবাড়ির তৈরির প্রস্তুতি শুরু করলো চীন!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫২, ১৩ মে ২০১৭ | আপডেট: ১১:৩৯, ২১ মে ২০১৭

বেজিংয়ের ‘চাঁদ’-এ ঢুকে পড়লেন চারজন চীনা নাগরিক! চাঁদে থাকতে, হাঁটাহাঁটি করতে, বেশ কিছু ক্ষণ সময় কাটাতে কেমন লাগে, তা বুঝতে সামনের দু’মাস ওই ‘চাঁদ’-এই থাকবেন এই চারজন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারীও।চীনের সরকারি সংবাদসংস্থা ‘জিনহুয়া’ এই খবর দিয়েছে।

নিল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিনের মতো অল্প সময়ের জন্য চাঁদের মাটিতে নামতে চান না চীনা মহাকাশচারীরা। চাঁদের মাটিতে নেমে তাঁরা কাটাতে চান অনেকটা সময়। পৃথিবীর নিরিখে বেশ কিছু দিন। কিন্তু চাঁদের মাটিতে নেমে দীর্ঘ দিন কাটানোটা তো খুব একটা সহজ কাজ নয়। সেখানে তো কোনও মহাকর্ষীয় বল নেই। যাকে বলে একেবারে ‘মাইক্রো-গ্র্যাভিটি’র অবস্থা। ভেসে থাকা। তাই চাঁদের মাটিতে নেমে বেশ কিছু দিন সেখানে থাকার তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন চীনারা। তার জন্য বেজিং শহরেই বানানো হয়েছে কেবিন। যেন একেবারে কৃত্রিম চাঁদ! যে কেবিনের ভেতরের পরিবেশটা একেবারে চাঁদের মতো। যেন চাঁদই নেমে এসেছে বেজিংয়ে বানানো ওই কেবিনে। আগামী বছর ওই কেবিন ‘য়ুগং-১’-এই কাটাবেন আটজন চীনা নাগরিক।চাঁদের পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার অনুশীলনই করবেন তারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যেমন দুঁদে মহাকাশচারী, তেমনই রয়েছেন সাধারণ নাগরিকও।

‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, বিজ্ঞানীরা আসলে বুঝে নিতে চাইছেন, চাঁদে প্রাণী, উদ্ভিদ আর জীবাণু (মাইক্রো-অরগ্যানিজম) কীভাবে একই সঙ্গে পাশাপাশি অনেকটা সময় কাটাতে পারেন, নিরাপদে, নির্ঝঞ্ঝাটে। দু’মাস পর আরও চার জন ঢুকবেন ওই কেবিনে। তাঁদের মধ্যেও থাকবেন দুই নারী। তাঁরা বেজিংয়ের ওই ‘চাঁদ’-এ কাটাবেন টানা দুই শত দিন। মানে, প্রায় সাত-সাতটা মাস! তার পর প্রথম যে চার জন বেজিংয়ের ওই ‘চাঁদ’-এ কাটিয়েছিলেন, তাঁরাই বাকি ১০৫ দিন বা তিন মাসের কিছুটা বেশি সময় আবার কাটিয়ে আসবেন সেখানে। তাঁরা যে বিষয়গুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম- ‘বায়ো-রিজেনারেটিভ লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম’ (বিএলএসএস)। এর আগে, ২০১৪ সালে ১০৫ দিন ধরে প্রায় একই রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছিল চীনে। তবে তার পর আরও সর্বাধুনিক হয়েছে বেজিংয়ের ওই ‘চাঁদ’। ওই কেবিনে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জন্য চাঁদেই পৃথিবীর মতো পরিবেশ গড়ে তুলে কৃত্রিমভাবে বানানো হবে পানি ও খাবারদাবার।

সূত্র: আনন্দবাজার


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি