ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণেই স্পষ্ট হয়ে যায় সব কিছু (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৮, ৭ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১১:০০, ৭ মার্চ ২০২১

বায়ান্নতেই স্বাধীনতার বীজ বপন। আর একাত্তরের ৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণেই স্পষ্ট হয়ে যায় সব কিছু। ডাক দেন মুক্তির, ডাক দেন স্বাধীনতার। মূলত: জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণটিই ছিলো স্বাধীনতার ঘোষণা। শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি। নির্দেশ মেনে বাঙালির প্রতিটি ঘর হয়ে ওঠে একেকটি দূর্গ।

একাত্তরের ৭ মার্চ, রেসকোর্স ময়দান যেনো জনসমুদ্র। লাখো কন্ঠে জয় বাংলা প্রকম্পিত ঢাকা। দলে দলে মানুষের মিছিলের ঠিকানা রেসকোর্স ময়দান। চেতনার কি জোয়ারই না এসেছিলো ঐ ক্ষণটিতে। 

মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী শাহাব উদ্দিন বলেন, উনি অবশেষে যখন বললেন এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বিশ্বাস করবেন, ওই যে জয়বাংলা উত্তাল এটা মানে ভূমিকম্পের মতো। কিন্তু ভূমিকম্প তো ভয়ের, এটা ছিল আনন্দের- যে আজকে থেকে স্বাধীন।

দু’চোখে মুক্তির আকাঙ্খা নিয়ে লাখো বাঙালির অধীর আগ্রহ। এক মহাকাব্যের অপেক্ষায়। সেই মহাকাব্যের রচয়িতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার কবি। 

শরীরে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে ময়দানে আসলেন বঙ্গবন্ধু, উঠলেন মঞ্চে। ‘তখন পলকে দারুন ঝলকে তরীতে উঠিল জল, হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার, সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?’ 

বললেন, বাঙালির মনের কথা। শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরে বাঙালিকে প্রস্তুত হতে বললেন। নির্দেশ আসলো শেকল ভাঙার। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে চাকরি ছেড়ে যুদ্ধে নামেন মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতিক) বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ সত্যই আমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। আমরা তো গোপনে সেই ভাষণ শুনেছিলাম। তখন সিদ্ধান্ত নিতে হলো আমার পরিচয় কি, আমি কি করবো? এই আরাম-আয়েশের জীবন, এতো বেতন, এতো সুযোগ-সুবিধা, সামনে সুন্দর ভবিষ্যৎ- এগুলো ছেড়ে মৃত্যুর মুখে চলে যাবো!

অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এই শব্দটি শোনার জন্যই তো ২৪ বছরের অপেক্ষা।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু আলোচনার টেবিলে যেতেন কিন্তু আন্দোলনকে অন রেখেই গিয়েছিলেন। কোনদিন আন্দোলনকে স্তমিত-স্থগিত করে আলোচনায় যাননি। প্রকৃত অর্থে পহেলা মার্চ যখন ইয়াহিয়া খান সংসদ অধিবেশন বন্ধ করলো, সেদিন থেকেই কিন্তু এই দেশে এই অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুর হাতে উঠে এসেছিল।

জাতির পিতার বজ্রকণ্ঠে সেই ১৮ মিনিটের অমর কবিতায় গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি। রেসকোর্স ছাপিয়ে- বাঙালিকে নিয়ে গেলো মুক্তির যুদ্ধে।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি