ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৯, ৩০ নভেম্বর ২০২০

বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের আজকের এই দিনে ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি মারা যান। বাংলাদেশের চিত্রশিল্পের প্রসারে তিনি পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন। বইয়ের প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জায় কাইয়ুম চৌধুরী এনেছেন আধুনিকতা এবং নতুন ধারার সৃষ্টিশীলতা।

এই মহান শিল্পীর জন্ম ১৯৩২ সালের ৯ মার্চ ফেনীতে। তিনি ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুলে এসএসসি (১৯৪৯), ঢাকা আর্ট কলেজে স্নাতক ডিগ্রি (১৯৫৪) লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা আর্ট কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে শিল্পী পাকিস্তান অবজারভারে প্রধান আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেন। একই সঙ্গে সাপ্তাহিক চিত্রালী ও দৈনিক পূর্বদেশেও চাকরি করেন। ১৯৬৫ সালে শিল্পী ফের যোগ দেন আর্ট কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শিল্পীদের নিয়ে গঠিত চারুকলা শিল্পী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক হিসেবে কাইয়ুম চৌধুরী অবসরে যান। তবে তিনি ২০০২ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান করেন। কাইয়ুম চৌধুরী শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রথম আলো, সচিত্র সন্ধানী, মূলধারাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন।

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে শিল্পসাধনায় মগ্ন ছিলেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। চারুকলার জগৎকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি মানুষের রুচি বিনির্মাণেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। শুধু ছবি এঁকেই শেষ নয়, শিল্পকলার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের প্রতিই ছিল তার ভালোবাসা। বই পড়া ও গান  শোনার নেশা ছিল, অনুরাগ ছিল চলচ্চিত্রেও। এত কিছুতে মগ্ন শিল্পী ছিলেন অত্যন্ত সমাজ ও রাজনীতিসচেতন। ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন ছাত্র। সে সময়ই দেশের সব প্রধান কবি-সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

চিত্রকলাকে দেশের গণ্ডি থেকে বহির্বিশ্বে পরিচিত করে তুলতে কাইয়ুম চৌধুরীর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। বোদ্ধাদের কাছে তিনি 'রঙের রাজা' হিসেবেই পরিচিত। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে স্বীয় প্রতিভার আলোকচ্ছটায় অগ্রসর চিন্তার আলোকে করে রেখেছিলেন প্রাণবন্ত।

কাইয়ুম চৌধুরী একুশে পদক (১৯৮৪) ও স্বাধীনতা পদক (২০১৪), বঙ্গবন্ধু পুরস্কার (১৯৭৪), জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের শ্রেষ্ঠ প্রচ্ছদ পুরস্কার (১৯৭৫), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৭), সুলতান পদকসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি