ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

সাত নম্বর মহাবিপদ সংকেত!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৪, ২৫ মে ২০২১ | আপডেট: ১০:৩৫, ২৫ মে ২০২১

সাত নম্বরে নেমে প্রথম ম্যাচেই ভালো করেছেন আফিফ

সাত নম্বরে নেমে প্রথম ম্যাচেই ভালো করেছেন আফিফ

সব ফরম্যাট মিলিয়ে টানা দশ ম্যাচ হারার পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে মূল কিছু সমস্যর সমাধান এখনও হয়নি। বিশেষ করে সাত নম্বর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে। এই পজিশনে দীর্ঘ দিন ধরেই স্থায়ী সমাধান খুঁজছে বাংলাদেশ।

গত পাঁচ বছরে এই সাত নম্বর ব্যাটিং পজিশনের সমাধান পেতে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ১৪ জন ক্রিকেটারকে। এত জনকে সুযোগ দিয়েও সমাধান মেলেনি। এই পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত। এই সময়ে খেলা ২২ ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ছিল ২৬.৭১।

গত পাঁচ বছরে সাব্বির রহমান ও নাসির হোসাইনও সাত নম্বর পজিশনে ব্যাট করেছেন ১২ ম্যাচে। যেখানে সাব্বিরের ব্যাটিং গড় ছিল ১৭.৯০ ও নাসিরের ১৫.৮৭। যদিও এই পজিশনে সবচেয়ে সফল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১ ম্যাচ খেলে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং গড় ৪৮.২৫।

সমস্যা জর্জরিত এই পজিশনে ৪ ম্যাচ ব্যাট করা সৌম্য সরকারের ব্যাটিং গড় ১৫.৩৩ ও তিন ম্যাচ ব্যাট করা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটিং গড় ৪০। সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬ ম্যাচ ব্যাট করা মিরাজের ব্যাটিং গড় মাত্র ১.৭৫!

এছাড়া একবার করে সাত নম্বর পজিশনে ব্যাট করা আবুল হাসান রাজু, মেহেদি হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, আরিফুল হক, সানজামুল ইসলামের ব্যাটিং গড় শূন্য, তানভির হায়দারের ২ এবং নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং গড় ৪৪।

দূর্যোগপ্রবণ এই পজিশনে টিম ম্যানেজমেন্ট সর্বশেষ সুযোগ দিয়েছেন আফিফ হোসাইন ধ্রুবকে। প্রথম সুযোগেই অবশ্য ভালোই করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২২ বলে অপরাজিত ২৭ রান করেন তিনি। তার এই ছোট ঝড়েই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচটায় ভালো করলেও সাত নম্বর পজিশনে আফিফ স্থায়ী সমাধান হতে পারবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও দীর্ঘদিন হলো সাতে ব্যাট করা মেহেদি হাসানকেও এই পজিশনে ফিট মনে হয়। তবে তাকে আরও অনেক বেশি কাজ করতে হবে।

এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ব্যাটসম্যান শামীম পাটোয়ারী ইতিমধ্যে তার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে নিজেকে তৈরি করেছেন এবং আগামীতে তাকে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো অবশ্য বিশ্বকাপের আগেই সবার ব্যাটিং পজিশন নিশ্চিত করতে চান। তিনি বলেন, বিশ্বকাপের ছয় মাস আগে জানতে হবে আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ কী হতে যাচ্ছে। এই সিরিজ জয়ও গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে অনেক পয়েন্ট রয়েছে। দুই বছরের মধ্যেই সব হবে।

শুধু সাত নম্বরেই নয়, সমস্যা আরেকজন ওপেনার নিয়েও। কেননা, এখনও তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিংয়ে সেভাবে সফল হতে পারেননি কেউ। দীর্ঘদিন হলো তামিমের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করেও ধারাবাহিক হতে পারেননি লিটন দাস। গত সাত ওয়ানডেতে টানা ব্যর্থ ছিলেন এই ওপেনার। 

তবে ডোমিঙ্গো আগলে রাখছেন লিটনকে। তিনি বলেন, ‘লিটনের প্রতি আমার অনেক বিশ্বাস আছে, আমার মনে হয়, সে একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়। তাঁর ভাগ্যের কিছুটা দরকার আছে। আমি মনে করি না, তার দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন রয়েছে। আমি মনে করি, প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো- আপনি যে খেলোয়াড়দের সমর্থন করছেন তা নিশ্চিত করা।’

এদিকে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সব কিছু সমাধান করার। রোববার প্রথম ওয়ানডে চলাকালীনই তিনি জানিয়েছেন, এই সব বিষয় নিয়ে খেলোয়াড় ও কোচদের সাথে কথা বলতে চান তিনি। তবে কাউকে চাপ দিতে চাননা বলেও জানান বিসিবি বস।

পাপন বলেন, ‘লিটন, সৌম্য এবং মিঠুন- তিনজনই ভালো খেলোয়াড়। ক্রিকেটাররা খারাপ সময় পার করে। আমাদের খেলোয়াড় ও কোচদের সাথে কথা বলতে হবে। আমি শীর্ষ থেকে একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। সেটি বরং নেতিবাচক হবে।

বিসিবি প্রধান আরও বলেন, লিটন টি-টোয়েন্টিতে হাত খুলে খেলতে পারে, তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, সে পাঁচ নাম্বারে ভালো। আমাদের তাদের সাথে বসতে হবে। আমি তাঁদের ওপর কোনও চাপ দিতে চাই না। আমি মনে করি, আমাদের একটি সমাধান হবে।’ – ক্রিকবাজ অবলম্বনে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি