ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

দ্বিগুণ বন্দিতে দুশ্চিন্তায় রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ

রাজশাহী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৮:২৩, ২ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১৯:৫৬, ২ এপ্রিল ২০২০

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির ধারণ ক্ষমতা এক হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু বুধবার (১ এপ্রিল) পর্যন্ত হাজতি এবং কয়েদি মিলে বন্দি ছিলেন তিন হাজার ৪০০ জন।

অর্থাৎ দিগুনের বেশি বন্দি রয়েছে এই কারাগারে। ফলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্দিদের নিয়ে তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা।

কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, মার্চের শুরুর দিকে বন্দি সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। এখন আদালতে জামিন শুনানি বন্ধ রয়েছে। তারপরও বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে প্রতিদিনই বাড়ছে আসামির সংখ্যা। তবে নতুন বন্দিদের কারাগারের ভিতরেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। যার সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যে ওয়ার্ডে ৫০ জন বন্দি থাকার কথা সেখানে গাদাগাদি করে থাকেন অন্তত ১২০ জন। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে তাদের ঘুমাতে হয় রাতে। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে, সেখানে কারাগারে এটি নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থায় নেই। বিষয়টি ভাবাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কারাগারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। এটি একটি বড় সমস্যা। কোনোভাবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি কারাগারে চলে এলে কী হবে সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তা বাড়ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা সতর্ক আছি। বন্দিদের সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছি। সময় মতো গোসল, হাত ধোয়া নিশ্চিত করছি। পাশাপাশি নতুন বন্দি এলে কারা ফটকেই চিকিৎসক দিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

মহানগর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, ‘আদালতে বিচারক আছেন। ছোট-খাটো মামলার জামিন দিচ্ছেন। কিন্তু বড় মামলার আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এদের আবার জামিনের আবেদন করতে পারছেন না আইনজীবীরা। পুরনো যেসব বন্দি কারাগারে আছেন, তাদেরও জামিন শুনানি হচ্ছে না। ফলে কারাগারে বন্দির সংখ্যা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আদালতে জামিন শুনানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ৪০০ বন্দির জামিন হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন কোনো না কোনো কয়েদির সাজার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এর বিপরীতে এখন আসামি আসছেন কম।’

ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি আছেন স্বীকার তিনি বলেন, ‘কারাগারে আগে যে রকম বন্দি থাকতেন এখনও সংখ্যাটা মোটামুটি সে রকমই আছে। করোনা  নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা একটা ভয়ের ব্যাপার।’ 

এআই/এসি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি