ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সেনাপ্রধানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৮:০৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সেনাপ্রধান

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সেনাপ্রধান

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে মিয়ানমার বিমান বাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর দেশটির রাজধানী নেইপিদো-তে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সময় সাপেক্ষে বিষয়গুলো কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দেয় উভয়পক্ষ। 

আলোচনার প্রথমেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গারা কেন মিয়ামনমারে ফেরত যেতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে- তা তুলে ধরা হয়। এই লক্ষ্যে মিয়ানমার কর্তৃক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আশিয়ান হিউম্যানিটারিয়ান ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিকে খুব শীঘ্রই সেটেলমেন্ট এলাকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানায়।
 
বাংলাদেশ কর্তৃক বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পরিকল্পিত বর্ডার রোড নির্মাণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি সর্বাত্বক সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থল মাইন এবং আইইডি (IED)-এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়।

বাংলাদেশের আকাশ সীমায় মিয়ানমার সামরিক হেলিকপ্টার এবং ড্রোন অনুপ্রবেশের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপেও তাদের ড্রোন পাঠানোর বিষয় তুলে ধরে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হলে এ বিষয়ে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানায়। 

সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাদক কারখানার উপস্থিতি এবং সেই মাদক বাংলাদেশে প্রবেশে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যে কোনও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল বুঝাবুঝি নিরসনে কাজ করতে সম্মত হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী কেবল কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনের জন্য সীমান্ত এলাকায় তাদের সৈন্য সমাবেশ ঘটায় বলে জানায়। তারা কখনও দুই দেশের সীমানা অতিক্রম না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে। 

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যেহেতু মিয়ানমার সেনাবাহিনী কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশন পরিচালনা করছে। তাই তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়ে বলেছে যে, যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশন পরিচালনা করবে তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেন বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে সীমান্ত এলাকায় তাদেরকে সহায়তা করে, যাতে তাদের ইনসার্জেন্ট গ্রুপ তাড়া খেয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে আশ্রয় নিতে না পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়।

দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম বৃদ্ধি, বিভিন্ন পর্যায়ের সৌজন্যমূলক ভিজিট বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি