ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

বড় সিদ্ধান্তে আব্বাকে সাহায্য করতেন মা : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০১:৫০ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:০৩ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৭ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ক্রান্তিকালে যখন কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার পড়তো তখন আব্বাকে সাহায্য করতেন মা। কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মা আব্বাকে সবকিছু থেকে কিছুক্ষণের জন্য আলাদা করে রাখতেন। বলতেন, ১৫ মিনিট শুয়ে রেস্ট নাও। অনেকে অনেক কথা বলবে, কিন্তু তোমাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। গোটা দেশ তোমার দিকে তাকিয়ে। তোমার মনে যে কথাটা আসবে সেই কথাটাই বলবে। এভাবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশ ও জাতি গঠনে নেতৃত্ব দিতে উদ্বুদ্ধ করতেন শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।


মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গমাতাকে স্মরণ করতে গিয়ে এসময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তার চোখে পানি চলে আসে। আলোচনা সভায় এসময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।


দেশের জন্য মায়ের ত্যাগ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বাসায় দলের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হতো। ছয় দফা না আট দফা হবে সেটা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দিনের পর দিন মিটিং চলতো।


এতো মানুষের রান্না মা নিজ হাতে করতেন। তখন তো ডেকোরেটর ছিলো না। আমরা প্লেট, গ্লাস মেজে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক একজন নেতা যখনই দলের সেক্রেটারি হয়েছেন, তাকে গ্রেফতার করা হতো। এজন্য একটা সময় কোনো নারীকে সেক্রেটারি করার প্রস্তাব দেওয়া হলো। সে অনুযায়ী দায়িত্ব দেওয়া হলো আমেনা বেগমকে।  


শেখ হাসিনা বলেন, মা আমাকে মাঝে মধ্যে বলতেন কি আলোচনা হচ্ছে খেয়াল রাখতে। নেতারা বলতেন ৬ দফা দিয়ে কি হবে, ৮ দফা হলে সব চাহিদা পূরণ হবে। আমার সঙ্গেও অনেক নেতার কথা হতো। বলতো তুমি কিছু বোঝ না, ৬ দফা না, ৮ দফা হলে সুবিধা হবে।


১৫ আগস্টের কালো রাত স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ঘাতকের দল যেভাবে আমার মায়ের উপর গুলি চালিয়েছে, সেটা কখনো ভাবতে পারিনি। আমার মনে হয়, ঘাতকের দল জানতো এদেশের স্বাধীনতার পেছনে আমার মায়ের অবদান।


এ কথা বলেই প্রধানমন্ত্রীর চোখ ভিজে যায়। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, আমার কষ্ট, আমার মা সারাজীবন কষ্ট করে গেলেন। আমার আব্বা মায়ের মতো একজন সঙ্গী পেয়েছিলেন বলেই তিনি তার জীবনে সংগ্রাম করে সফলতা পেয়েছিলেন। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
//এআর