ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

৬ ভাবে হ্যাক হতে পারে আপনার এটিএম কার্ড

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৮:২২ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৭ সোমবার

তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের এই যুগে এটিএম বুথ থেকে টাকা হ্যাক হওয়া খুবই সহজ। অনেকেই ডেবিট কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। বারবার এ অভিযোগ এলেও একদিকে যেমন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, অন্যদিকে িএ বিষয়ে জনসচেতনতাও বাড়ছে না।


গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ভারতে গত বছরই ১৯টি ব্যাংকের অন্তত ৩২ লাখ ডেবিট কার্ড হ্যাক হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের কিছু ব্যাংকও রয়েছে। বাংলাদেশে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে প্রচুর লেনদেন হয়ে থাকে।

অনেক প্রতারকই এসব টাকা হাতিয়ে নিতে নতুন নতুন ফন্দি আঁটছে। পাঠকদের জন্য এটিএম বুথ কিভাবে হ্যাক হয় তার কয়েকটি নমুনা তুলে ধরা হল-

মেশিনে নকল ফ্রন্ট কভার : মেশিনের ডিসপ্লেতে অনেক সময় নকল ফ্রন্ট কভার যুক্ত করে রাখে প্রতারকরা। অনেকের পক্ষে তা ধরা সম্ভব হয় না। ফ্রন্ট কভারে ভুল বার্তা দিয়ে গ্রাহকদের পিন এবং টাকা চুরি করে থাকে প্রতারক চক্র।

কার্ড স্কিমার : কার্ড রিডার স্লটে এসব ডিভাইস ইনস্টল করা থাকে যাতে এটিএম কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ থেকে যাবতীয় তথ্যাদি চুরি করা যায়।

বড় কার্ড স্লট : এটিএম বুথের কার্ড স্লটটি কিছুটা ফাঁপা অথবা ঠিক অবস্থানে আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিন। অনেক সময় আসল কার্ড স্লটের ওপরে বিকল্প কার্ড রিডার স্লট যুক্ত করে ডেবিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য চুরি করা হয়।

ঢিলেঢালা স্লট : এটিএম বুথের কার্ড স্লটটি ঢিলেঢালা কিনা খেয়াল রাখুন। অনেক সময় কার্ড স্লটে ‘লেবানিজ লুপ’ থাকে। লেবানিজ লুপ হল হুলসমেত ছোট্ট প্লাস্টিক ডিভাইস যা কার্ডটিকে মেশিনে আটকে রাখে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ভাববে মেশিন হয়তো কার্ডটি গ্রাস করেছে কিংবা কার্ডটি আটকে গেছে।

ভুয়া কিপ্যাড : আসল কিপ্যাডের ওপরে ভুয়া কিপ্যাড লাগানো থাকে। টাচ করার সময় যদি কিপ্যাড স্পঞ্জের মতো বা ঢিলেঢালা মনে হয় তবে পিন দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

গোপন ক্যামেরা : মেশিনে অনেক সময় ক্ষুদ্র ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়। আবার এটিএম বুথের ছাদেও ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়। ক্যামেরার সাহায্যে সহজে পিন চুরি করা যায়।

সুতরাং এটিএম বুথে প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

//এআর