ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঘুরে আসুন রি-ছাং ঝর্ণা

প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১০:১২ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

নদী, পাহাড় আর গহীন অরণ্যে নৈসর্গের সৌন্দর্য রি-ছাং ঝর্ণা। এ যেন প্রকৃতির কোলে নীল আকাশের কোলাকুলি। অপরূপ সৌন্দর্যের রি-ছাং ঝর্ণা দেখতে যাত্রাপথের দু`পাশে নজরকাড়া প্রকৃতি, মাঝে পিচঢালা উঁচু-নিচু পথ আপনাকে দেবে বাড়তি আর্কষণ। আর পথ চলতে আপনার সঙ্গী হবে, আকাশ ছোঁয়া পাহাড়ি বৃক্ষের ছায়া, ঘন জঙ্গলের বুনো গন্ধ, অচেনা পাখির মিষ্টি সুর।

পাহাড় বেয়ে যেতেই মনে হবে আরেকটু সামনে এগোলেই বুঝি নীলাভ আকাশ ছুঁয়ে দেবে আমায়। তবে আকাশের পরশ না পেলেও আলুটিলার মোড়ে মেঘের ভেলার সঙ্গে দারুণ এক সাক্ষাৎ পাবেন। সে এক অপার্থিব অনুভূতি, অজানা শিহরণ। শেষ বসন্তে পাহাড়ের নৈসর্গিক প্রকৃতি দেখতে দেখতেই পৌঁছে যাবেন রি-ছাং ঝর্ণার কাছাকাছি।

এরপর পাহাড়ি পথে হাঁটা, কখনও উঁচু আবার কখনও নিচু- এভাবে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যেতে হবে জলধারার কাছে। পথে চলতে শরীর কিছুটা ক্লান্তির ছাপ, প্রকৃতির ছোঁয়ায় বিলীন হয়ে যাবে। দৃষ্টিনন্দন ঝর্ণার বিশাল জলরাশি অবিরাম ধারায় গড়িয়ে পড়ে তার নিজস্ব ছন্দে।

রি-ছাং হলো মারমা শব্দ। এর বাংলা অর্থ হলো- `রি` মানে পানি আর `ছাং` মানে গড়িয়ে পড়া। আশ্চর্য- নামের সঙ্গে ঝর্ণার বৈশিষ্ট্যের হুবহু মিল রয়েছে।

প্রচণ্ড গতিতে প্রায় ষাট ফুট ওপর থেকে পানি পড়ার রিমঝিম শব্দ। দেশের অন্যান্য ঝর্ণার চেয়ে এই ঝর্ণার বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। পর্যটকরা নিরাপদে এর পানিতে নিজেকে মন ভরে ভেজাতে পারেন। যেন শৈশবের স্মৃতিতে হারিয়ে যাওয়া।

প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হয়েছে যেন সুইমিং পুল। ইচ্ছে হলে সাঁতারও কাটা যাবে। চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো একবার- সম্পূর্ণ বুনো পরিবেশে হাজার ফুট উপরে সাঁতার কাটতে কেমন লাগবে আপনার?

যেভাবে যাবেন : ঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাস যায় খাগড়াছড়ি। রাত যাপনের জন্য খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল, শহরের শাপলা চত্বরে শৈল সুবর্ণা ও জিরানসহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। ভাড়া ১১০০-৫০০০ টাকার মধ্যে। তবে চেঙ্গিস ব্রিজের পাশে পর্যটন মোটেলে রাত কাটানোর আনন্দই হবে আলাদা। খরচ জনপ্রতি দু`দিনের জন্য সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা।

সতর্কতা: নিরাপদ ভ্রমণের জন্য অপরিচিত কারও সঙ্গে হুট করে ঘনিষ্ঠ হতে যাবেন না।

আর/ডব্লিউএন