ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বিদায়ের পথে মাহে রমজান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৩ এএম, ২৩ মে ২০২০ শনিবার

যে ব্যক্তি রমজান পেল এবং রমজানের রোজা পেলো কিন্তু নিজেকে গোনাহমুক্ত করতে পারল না তার মতো অভাগা আর কেউ নেই। আর যে ব্যক্তি পবিত্র রমজান পেল এবং তার হক সঠিকভাবে পালন করলো, সে এমনভাবে পাপমুক্ত হলো যেন সে সদ্য মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হলো।

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সে বিখ্যাত হাদিসটিতে রোজার আবশ্যক কর্তব্য সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে। যেখানে তিনি রমজানের হক আদায় না করলে কী পরিণতি হবে তা বর্ণনা করেছেন। 

বিদায় শব্দটির সঙ্গে কষ্ট জড়িয়ে আছে। যে কোন বিদায় অনুভূতিতে নাড়া দেয়। আর রমজান তো এসেছিল রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের প্রাচুর্য নিয়ে। এ থেকে আমরা বঞ্চিত হবো, এরকম ভাবতেই কষ্ট হয়।

রমজান আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। মাত্র এক দিন বাকি। আমরা কি পেরেছি রহমতের বৃষ্টিতে অবগাহন করতে, মাগফিরাতের সাগরে ভাসতে, আমরা কি পেয়েছি নাজাতের সুবাতাস?

রমজান তো তাকওয়া অর্জনের মাস অর্থাৎ খোদাভীতি লাভ। আমরা কি পেরেছি খোদাভীতি হতে। আল্লাহর ভয়ে সব রকম অন্যায়, অপকর্ম, লোভ ছাড়তে পেরেছি কি? তবে রমজান থেকে আমাদের অর্জন কি?

রমজান তো সহনশীল ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়। এই শিক্ষা কি আমরা গ্রহণ করতে পেরেছি, না রমজান আসা-যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলো।

নিজেকে শুধরে নেয়ার সময় ছিল রমজান। আমরা কি আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি। অর্থাৎ লোভ-লালসা, গিবত, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, আত্ম-অহঙ্কার, মিথ্যা বলা, কার্পণ্য ইত্যাদি থেকে মুক্ত হতে পেরেছি।

এই রমজানে কুরআন এসেছে আমাদের কল্যাণের জন্য। কুরআনকে কতটুকু ভালোবাসতে পেরেছি। অর্থাৎ এ থেকে কতটুকু আমলে নিতে পেরেছি। মুক্তির মাধ্যম কিন্তু কুরআন। এর আলোকে নিজেকে আলোকিত করতে হবে।

আল্লাহকে পাওয়ার আর একটি মাধ্যম হলো দান। দান হলো পূণ্যের কাজ। অন্য সময়ের চেয়ে রমজানে এক পূণ্যে ৭০ থেকে ৭০০ গুণ বেশি সওয়াব। এর থেকে আমরা কি লাভ করেছি। টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ, জ্ঞান-বুদ্ধি সবই তো আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া। তার সন্তুষ্টির জন্য কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করলাম।

আসুন রমজানের যতটুকু সময় আছে এর প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাই। কল্যাণকামী হই এবং আল্লাহর কৃপা লাভ করি। দানের হাতকে প্রসারিত করি। আমিন।
এসএ/