ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নাসিরনগরে অটোরিকশায় ওড়না পেঁচিয়ে কিশোরীর মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০১ পিএম, ২৪ মে ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৫:০৪ পিএম, ২৪ মে ২০২০ রবিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় ওড়না পেঁচিয়ে আরজিনা আক্তার নামে এক কিশোরীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার ২৩ মে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরী আরজিনা আক্তার (১২) উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের সূচিউড়া গ্রামের আব্বাস ফকিরের মেয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আরজিনা আক্তারের বাবা গ্রামের পাশের একটি ইটভাটার দোকানি ছিল। প্রতিদিনই তার বাবার জন্য খাবার নিয়ে যেত। ঘটনার দিন সকাল ১১টার সময় আরজিনা একটি বক্সে করে খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ায়। এর পর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠে। কিছুক্ষণ পরই আরজিনার গলায় থাকা ওড়নাটি অটোরিকশার চাকার সাথে পেঁচিয়ে গেলে তার গলায় ফাঁস লেগে যায়। আহত অবস্থায় ওই অটোরিকশা চালক স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক পরেশ নাগের কাছে গেলে তিনি আরজিনার প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী পারবতী রানী দাস জানান, সকাল ১১টার সময় আমি পুকুরে কাজ করছিলাম। তখন দেখি একটি অটোরিকশার চাকার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে একটি মেয়ে আহত হয়ে পড়ে গেছে। তখন আমিসহ কয়েকজন মিলে তার মাথায় পানি দেয়।
 
পল্লী চিকিৎসক পরেশ নাগ জানান,'আমার কাছে মেয়েটিকে আনার পর আমি তাকে জিজ্ঞেস করি তুমি কীভাবে আঘাত পেয়েছ। তখন মেয়েটি বলে, কাকু আমার গলায় ওড়না ছিল। সে ওড়নাটি গাড়ির চাকার সাথে পেঁচিয়ে যায়। তার পর তাকে উপজেলা সদর হাসপাতালে পাঠাতে পরামর্শ দেই।' 

নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, গতকাল রাত ৯টার সময় জানতে পারি অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে একটি মেয়ে মারা গেছে। তার গলায় দাগও আছে। যদিও ঘটনাটি ঘটে সকাল ১০টার সময় এবং স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করায় পরে নাসিরনগর আসার পথে মেয়েটি মারা গেছে। আমরা অনেক দেরিতে সংবাদ পেয়েছি। সংবাদ পাওয়ার পরই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে বুঝতে পারি গাড়ির চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে একটি মেয়ে মারা গেছে। যদিও কিছু লোকের মনে সংশয় ছিল বলে মনে হচ্ছে। কারণ কিছুদিন পূর্বে একই গ্রামে পুলিশ এসল্টসহ আরও দুটি মামলা হয়েছে। ধারণা করছি এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ফাঁসানোর জন্যে অন্য কোন প্রক্রিয়া মামলা দিতে পারে বিধায় মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেআই/