লাদাখে চীন-ভারত উত্তেজনা, সীমান্তে সৈন্য বৃদ্ধি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২৫ পিএম, ২৬ মে ২০২০ মঙ্গলবার
ক্রমশ উত্তেজনার পারদ বাড়ছে লাদাখ সীমান্তে। পূর্ব লাদাখে চীন-ভারত প্রকৃত সীমান্তরেখার বেশ কিছু অঞ্চলে উভয়ের সেনাবাহিনী এখন মুখোমুখি। ২০১৭ সালে ডোকলামের পর সীমান্তে দু’দেশের সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশের ইঙ্গিত মিলেছে।
শীর্ষস্থানীয় সেনাসূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, প্যানগং সো ও গালওয়ান উপত্যকায় শক্তি বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। পাশাপাশি ওই দুই অঞ্চলে দুই থেকে আড়াই হাজার চীনা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতীয় সেনার শক্তি এই অঞ্চলে যথেষ্ট বেশি রয়েছে।’
চীন-ভারত সীমান্তের বহু উল্লেখযোগ্য স্থানে সীমান্ত পেরনোর অভিযোগ রয়েছেন চীনা সেনার বিরুদ্ধে। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতীয়দের মাঝে। এই পরিস্থিতিতে অবসরপ্রাপ্ত নর্দান আর্মি কমান্ডার লে. জেনারেল ডিএস হুডা জানান, ‘বিষয়টা গুরুতর। এটা কোনও সাধারণ সীমালঙ্ঘন নয়। গালওয়ানের মতো এলাকায় সীমান্ত অতিক্রম উদ্বেগের বিষয়। কেননা ওই সীমান্তরেখায় কোনও সমস্যা নেই।’
কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ রাষ্ট্রদূত অশোককে কান্ঠা হুডার সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন, ‘পরিস্থিতি যথেষ্ট অস্বস্তির। বেশ কিছু জায়গায় চীনা সেনা সীমান্তরেখা লঙ্ঘন করেছে। যা খুবই উদ্বেগজনক।’
গত দু’সপ্তাহে গালওয়ান উপত্যকায় শক্তি বাড়িয়েছে চীন। ১০০টি শিবির তৈরি করেছে তারা। বাঙ্কার নির্মাণের ভারী উপকরণও মজুত করা হয়েছে সেখানে।
সূত্রানুসারে, ভারতীয় সেনা ‘আক্রমণাত্মক টহলদারি’শুরু করেছে ডেমচক ও দৌলত বাগ ওল্ডিসহ বহু স্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ মে ২৫০ চীনা-ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে। ওইদিন উভয় সেনাদের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল লোহার রড ও লাঠি নিয়ে। এমনকি পাথর ছোড়াও হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন উভয়পক্ষের সেনারাই।
এআই//