ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

এক হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ৯ খুন!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ২৬ মে ২০২০ মঙ্গলবার

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের ওয়ারাঙ্গাল জেলায় গত সপ্তাহে ৯ জনকে খুনের অভিযোগে ২৪ বছরের এক যুবককে স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ মে) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

একই পরিবারের ছ’জন, বিহারের দু’জন এবং ত্রিপুরার একজনকে খুনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। মরদেহগুলো একটি কুয়া থেকে উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির। 

স্থানীয় পুলিশের দাবি, গত মার্চে এক মহিলার হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় কুমার যাদব। হত্যাকাণ্ডে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়া হয়। পরে সবাই অচেতন হয়ে পড়লে দেহগুলো কুয়ায় ফেলে দেয় ওই ঘাতক।

তেলেঙ্গানার গিসুগোন্ডা মণ্ডল গ্রামের এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়ে রয়েছে মার্চে নিহত এক মহিলার হত্যাকাণ্ড। ওই মহিলার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল প্রাণ হারানো পরিবারের। ওয়ারাঙ্গাল পুলিশ কমিশনার ভি রবিন্দর সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন,‘একটা খুনকে চাপা দিতে সে আরও ৯টি খুন করেছে। ওই যুবকের যাতে কঠোরতম শাস্তি হয় সে চেষ্টা করবে পুলিশ।’

গত সপ্তাহে নিহত পরিবারের মরদেহগুলো উদ্ধার হয়। ওই পরিবারে ছিলেন মকসুদ, তার স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে, মেয়ে বুশরা ও তার ৩ বছরের পুত্র। সকলকেই হত্যা করে সঞ্জয়। পুলিশ বলছে, ‘নিহত ন’জনের মধ্যে সাতজনই এক ব্যাগ কারখানায় কাজ করতেন।’

পুলিশের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মকসুদ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন। ২০ বছর আগে তিনি সেখান থেকে তেলেঙ্গানায় চলে আসেন। পরিবার নিয়ে দুই রুমের এক বাসায় বসবাস করতেন। মকসুদের স্ত্রী সঞ্জয় যাদবকে প্রায়ই হুমকি দিতেন, তিনি ওই নিখোঁজ মহিলার বিষয়ে পুলিশকে জানাবেন। বিহার থেকে আগত সঞ্জয় এরপরই খুনের পরিকল্পনা করা শুরু করে।

প্রথমে যখন মরদেহগুলো পাওয়া গিয়েছিল, তখন প্রাথমিকভাবে গণ আত্মহত্যার কথা ভাবা হয়েছিল। কেননা কোনও মৃতদেহেই গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পরে আঘাতের চিহ্ন আবিষ্কার করেন তদন্তকারীরা।

অভিযুক্ত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।  

এআই//