ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

লাদাখের কাছে বিমানঘাঁটি সম্প্রসারণ করেছে চীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৯ পিএম, ২৭ মে ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৬:১১ পিএম, ২৭ মে ২০২০ বুধবার

এগুলো চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স’র জে-১১ বা জে-১৬ যুদ্ধবিমান হতে পারে- এনডিটিভি

এগুলো চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স’র জে-১১ বা জে-১৬ যুদ্ধবিমান হতে পারে- এনডিটিভি

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই লাদাখের কাছে বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে চীন। সদ্য স্থাপিত বিমানঘাঁটিটিতে দেখা গেলো যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি। উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায়, প্যানগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে চীনা বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ চলছে। খবর এনডিটিভি’র। 

গত ৫ ও ৬ মে প্যানগং লেকে ভারত ও চীনের সেনা বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গোয়েন্দা সংস্থা ‘ডিট্রেসফা’ সূত্রে গারি গুনসা বিমানবন্দরের দুইটি ছবি সামনে এসেছে। একটি ৬ এপ্রিল তোলা। অন্যটি গত ২১ মে-র। দুইটি ছবিতেই দেখা গিয়েছে ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ চলছে সেখানে। মনে করা হচ্ছে ওখানে যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার রাখার ঘাঁটি হচ্ছে। এছাড়াও আরও একটি ছবি সামনে এসেছে। সেই তৃতীয় ছবিতে কাছ থেকে বিমানবন্দরটিকে দেখা যাচ্ছে। যার প্রধান রাস্তায় চারটি যুদ্ধবিমানকে পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এগুলো চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স’র জে-১১ বা জে-১৬ যুদ্ধবিমান।

জে-১১ বা জে-১৬ হল রাশিয়ান সুখোই ২৭-এরই উন্নত দেশীয় সংস্করণ। এর সঙ্গে ভারতের সুখোই ৩০ এমকেআই’র অনেকটাই মিল রয়েছে। ঐ ছবির ক্যাপশন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৯’র ডিসেম্বরে ওখানে প্রথম ঐ যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন করা হয়েছে। এই গারি গুনসা বিমানবন্দরের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৪,০২২ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই বন্দরটি সেনা ও যাত্রীবাহী বিমান দুইয়ের উড়ানের জন্যই ব্যবহৃত হয়। প্রকৃত সীমান্তরেখার খুব কাছে অবস্থিত এই বিমানবন্দরের একটি সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এতটা উঁচু থেকে এখানে কেবল সীমিত যুদ্ধ সামগ্রী ও জ্বালানিই বহন করা সম্ভব।

১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সেনানী (ভারতীয়) অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার সমীর যোশী জানিয়েছেন, এই জাতীয় উচ্চতাতে মোতায়েন করা চীনা জে-১১ বা জে-১৬ যুদ্ধবিমানের কার্যকরী ক্ষমতা এক ঘণ্টার বেশি হবে না। তাঁর দাবি, বিভিন্ন বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি বরং তিন থেকে চার ঘণ্টা লড়তে পারবে যদি আকাশপথে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতে হয়। অর্থাৎ ঐ এলাকায় মোতায়েন ভারতীয় যুদ্ধবিমানসমূহ চীনা যুদ্ধবিমানের থেকে অনেক দীর্ঘ সময় আকাশ পথে থাকতে পারবে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, হাজার হাজার চীনা সেনা হয় লাদাখের প্রকৃত সীমান্তরেখা হয় অতিক্রম করেছে অথবা তার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। গত ৫ মে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় প্যানগং লেকের উত্তর তীরে।

এমএস/