করোনা শূন্য নিউজিল্যান্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৯ এএম, ২৮ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার

করোনা ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী মহামারীতে নিউজিল্যান্ড নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। টানা ৫দিনে দেশটিতে কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। প্রাদুর্ভাব শুরুর সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন জারির পর এই প্রথম দেশটির কোনো হাসপাতালে একজনও কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসাধীন নেই। দেশটি কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য জানিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. অ্যাশলে ব্লুমফির্ড একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশের কোনো হাসপাতালে আর একজন রোগীও নেই যিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবশেষ সুস্থ হয়ে মিডলমোর হাসপাতাল থেকে একজন রোগী ছাড়া পাওয়ার পর এই সংখ্যাটা এখন শূন্য। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন কিন্তু সেই সংখ্যাটা কখনোই খুব বেশি ছিল না। অবশেষে কয়েক মাস পর আমাদের হাসপাতালগুলোতে এমন কোনো রোগী নেই যিনি করোনা আক্রান্ত। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১, তারা বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।’ গত একদিনে নতুন করে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি বলে জানান তিনি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫০৪। মারা গেছে ২১ জন; সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন। ১৪ মার্চ যখন দেশটিতে মাত্র ছয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল তখনই প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ড আর্ডার্ন ঘোষণা দেন, নিউজিল্যান্ড ভ্রমণে যারা আসবেন তাদেরকে বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহের সেল্ফ আইসোলেশনে (সঙ্গ নিরোধ) থাকতে হবে। ১৯ মার্চ পর্যটকের জন্য নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ দিনে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ জন। ২৩ মার্চ দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়। সে পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে কোন মৃত্যু ঘটনা ঘটেনি তবে আক্রান্ত ছিলেন ১০২ জন। এরপর টানা প্রায় দুই মাস দেশ লকডাউন থাকার পর গত ১৪ মে থেকে ধীরে কিছু ব্যবসা কেন্দ্র ও জনসমাগমস্থল খুলে দিতে শুরু করে সরকার।
আগাম সতর্কতামূলক কঠোর পদক্ষেপ দেশটির করোনা প্রতিরোধ সাফল্যের অন্যতম হাতিয়ার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এমএস/এসি