ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনা থেকে মুক্ত হলেন ৩ ম্যাজিস্ট্রেট

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:৪৯ পিএম, ২ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

চুয়াডাঙ্গায় করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এতে করে করোনা শনাক্তের ১৯ দিন পর সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন তারা। 

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনিরা পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

করোনা থেকে বেঁচে ফেরা তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন-শিবানী সরকার, আমজাদ হোসেন ও খাইরুল ইসলাম।

পুনরুদ্ধার হওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ জানান, ‘করোনার ঝুঁকির মধ্যেও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জেলার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি। দায়িত্ব পালনে ছিলাম অপোষহীন। হঠাৎ একদিন অনুভব করি শরীর খারাপের দিকে যাচ্ছে। দেখা দিচ্ছে করোনার উপসর্গ। ১৪ মে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর থেকে হোম আইসোলেশনে ছিলাম। তিনবার পরীক্ষায় সর্বশেষ ২৮ মে করোনা রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।’

গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই করোনাবিরোধী যুদ্ধে মাঠে প্রশাসনের তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন সক্রিয়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মধ্যে ত্রাণ সরবরাহ, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, আক্রান্ত হওয়া মানুষকে ফলমুল পাঠানো এমন নানা কাজে যুক্ত ছিলেন তারা। 

তারা বলেন, ‘করোনার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হলো মনোবল ঠিক রাখা। আশপাশের মানুষের কথায় কান না দিয়ে চিকিৎসকের নির্দেশনা মতো চলতে হবে। চিন্তিত না হয়ে মনোবল ঠিক রাখলে করোনা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত বেশ কয়েকটি ওষুধ সেবন করার পাশাপাশি দুধ, ডিম, ভিটামিন সি ও ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে, সাথে গরম পানি। লবণ মেশানো গরম পানি দিয়ে দিনে ৫-৬ বার গার্গল করলে ভাল হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তাদের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। ১৬ মে নমুনা পরীক্ষায় তারা করোনা শনাক্ত হন। ২৮ মে নমুনা পুনঃপরীক্ষায় তাদের ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে ১৯ দিন পর সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন তারা। 

এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৬৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে একজনের। 

এআই//