ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এস আলম গ্রুপ করোনা রোগীদের জন্য ৫ কোটি টাকার সরঞ্জাম দিলেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৩ পিএম, ২ জুন ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:১১ এএম, ৩ জুন ২০২০ বুধবার

দুটি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরযুক্ত আইসিইউ, হাই ফ্লো অক্সিজেন হস্তান্তর করছেন পিএস আকিজ উদ্দিন।

দুটি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরযুক্ত আইসিইউ, হাই ফ্লো অক্সিজেন হস্তান্তর করছেন পিএস আকিজ উদ্দিন।

দেশের স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে এই প্রথম ৮টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা ও ৬টি ভেন্টিলেটরযুক্ত আইসিইউ প্রদান করেছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। চট্টগ্রামের তিনটি হাসপাতালে প্রায় ৩ কোটি টাকা দামের এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান করা হয়। নিউজিল্যান্ডের তৈরি এয়ারবু হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলার প্রতিটির মূল্য ১৫ লাখ টাকা। আর আইসিউযুক্ত প্রতিটি ভেন্টিলেটরের মূল্য ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর করেন পিএস আকিজ উদ্দিন।

এর আগে ঢাকায় অবস্থিত আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আড়াই কোটি টাকা দামের আটটি ভেন্টিলেটরযুক্ত আইসিইউ শয্যা প্রদান করা হয়।

জানা যায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য ৪টি আইসিউযুক্ত ভেন্টিলেটর, ৪ টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য ২টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য ২টি আইসিউযুক্ত ভেন্টিলেটর ও ২টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা প্রদান করা হয়েছে।

আমেরিকার তৈরি ফিলিপস ব্র‍্যান্ডের আইসিউযুক্ত প্রতিটি ভেন্টিলেটরের মূল্য ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ৬টি আইসিইউযুক্ত ভেন্টিলেটরের জন্য খরচ হয় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের তৈরি এয়ারবু হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলার প্রতিটির মুল্য ১৫ লাখ টাকা। ৮টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা কিনতে খরচ হয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এর আগে এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্য ৫০০ পিপিই প্রদান করা হয়। এছাড়া চিকিৎসকদের ডিউটি রুমের জন্য ২টি ২ টন এসি, ২টি নমুনা কালেকশন বুথ স্থাপন করা হয়।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কোয়ারান্টাইন এ থাকা চিকিৎসকদের খাবারের জন্য এস আলম গ্রুপ ১ লাখ টাকা প্রদান করে। এছাড়া এই হাসপাতালের জন্য ১টি ২ টন এসি, ২টি নমুনা কালেকশন বুথ স্থাপন করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়া বিআইটিআইডির চিকিৎসকদের ডিউটি রুমের জন্য ১ টি ২ টন এসি, ২টি নমুনা কালেকশন বুথ ও চট্টগ্রামের ১৪ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিটি তে ৫০ টি করে ৭০০ পিপিই প্রদান করে এস আলম গ্রুপ।

মাঠে কাজ করা পুলিশ সদস্যদের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে (সিএমপি) ২ হাজার পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) প্রদান করে এই শিল্পগ্রুপটি।

এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য চীন থেকে আমদানিকৃত ২ হাজার উন্নতমানের পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে পিএস আকিজ উদ্দিন বলেন, পিপিইগুলো চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে। উন্নতমানের পিপিইগুলো দ্বারা স্বাস্থ্যকর্মীরা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পারবে। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছেন।

এদিকে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নগরীর ৩ হাজার পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। নগরীর দরিদ্র শ্রমিকদেরকে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, আধা কেজি লবন, আধা লিটার সয়াবিন তেল ও ১টি সাবানসহ ১১ কেজি খাদ্য দ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রত্যেকের বাসায় বাসায় গিয়ে বিতরণ করা হয়। এস আলম গ্রুপের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

এসি