ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

করোনায় না ফেরার দেশে ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪০ এএম, ৩ জুন ২০২০ বুধবার

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের উৎপত্তির একশ তেপান্নতম দিন আজ। ইতিমধ্যেই ভাইরাসটির ভুক্তভোগী পৌনে ৬৫ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে অর্ধেকই বেঁচে ফিরলেও না ফেরার দেশে ৩ লাখ প্রায় ৮২ হাজার মানুষ।   

যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে করোনার তাণ্ডব চালিয়েছে গোটা ইউরোপে। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলে করোনার নতুন হটস্পট হয় লাতিন আমেরিকা। যেখানে অন্তত ষাট হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটির কবলে পড়ে। যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী ব্রাজিল। 

উৎপত্তিস্থল চীনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ করোনার লাগাম টেনে ধরতে পারলেও ব্যর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশগুলো। একদিকে পূর্ব প্রস্তুতি অন্যদিকে অবহেলার কারণেই মূলত এতটা ভয়াবহ দেখছে দেশগুলো।  

ভাল নেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও। আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনার পরবর্তী কেন্দ্র হতে চলেছে এ অঞ্চল। যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী নরেন্দ্র মোদির দেশ ভারত। যেখানে আক্রান্ত ২ লাখ ছাড়িয়েছে।  সংক্রমণ তালিকায় শীর্ষ সাতে জায়গা হয়েছে দেশটির। প্রাণ গেছে সেখানে ৫ হাজার ৮২৯ জনের। 

প্রকট আকার ধারণ করছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশেও। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এখানে বাড়ছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি। প্রতিদিনই রেকর্ড আক্রান্তে সংক্রমণ ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭০৯ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ১২০ জন। 
 
এমন অবস্থার পরও খুলে দেয়া হয়েছে অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চালু হয়েছে গণপরিবহন। এতে করে করোনার সংক্রমণ আরও ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।  

আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার শিকার এখন পর্যন্ত ৬৪ লাখ ৭৯ হাজার ১৭৮ জন মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮২ জন। নতুন করে প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৭৬৯ জনের। এ নিয়ে করোনারাঘাতে না ফেরার দেশে বিশ্বের ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৫৯ জন মানুষ। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩০ লাখের বেশি মানুষ। 

এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্ত বেড়ে ১৮ লাখ ৮১ হাজার ২০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানি ১ লাখ ৮ হাজার ৫৯ জনে ঠেকেছে। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশ ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৩১ হাজার ২৭৮ জনে ঠেকেছে। দেশটিতে গত একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। 

আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় করোনার শিকার ৪ লাখ সাড়ে ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে পুতিনের দেশে। 

নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ প্রায় ৮৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ হাজার ১২৭ জনের। টানা দ্বিতীয় দিন মৃত্যু শূন্য ইউরোপের এই দেশটি। 

প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ২ লাখ প্রায় ৭৮ হাজার। মৃতের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৩৬৯ জনে ঠেকেছে। 

সাড়ে ৩৩ হাজার প্রাণহানি হয়েছে ইতালিতে। যেখানে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৫ জন। 

এদিকে, সংক্রমণ পৌন ১ লাখ ছাড়িয়েছে পাকিস্তানে। বর্তমানে সেখানে আক্রান্ত ৭৬ হাজার ৩৯৮ জন। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ১ হাজার ৬২১ জনের। 

এদিকে, করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আবারও মুখ খুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির পরিচালক মাইকেল রায়ান ভার্চুয়াল জানিয়েছেন, ‘শিগগিরই করোনা দুর্বল হয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এটি এখনও অনেক শক্তিশালী।’

এআই//