ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ভারতে করোনায় মৃত্যু ৬ হাজার ছাড়াল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৪ পিএম, ৪ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার

ভারতে আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। যার শিকার দেশটির ২ লাখ প্রায় ১৭ হাজার মানুষ। এর মধ্যে ছয় হাজারের বেশি মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও বেঁচে ফিরেছেন অর্ধেকই। 

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯ হাজার ৩০৪ জনের শরীরে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ১৬ হাজার ৯১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে আরও ২১৭ জনের। এতে করে করোনার থাবায় না ফেরার দেশে ৬ হাজার ৭৫ ভারতীয়।  

এদিকে বুধবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ফের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ড্রাগটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করা যাবে। সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের মৃত্যু নিয়ে যে তথ্য আমাদের কাছে এসেছে তার ভিত্তিতে আমাদের এক্সিকিউটিভ গ্রুপ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চালু করার কথা জানিয়েছে।’

তবে ভারতে করোনা ভাইরাস থেকে পুনরুদ্ধারের হারও যথেষ্ট সন্তোষজনক। মরণ এ ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৪৭ দশমিক ৯৯ শতাংশে উন্নিত হয়েছে। যার সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ১০৭ জন। 

ভারতে করোনা সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখিয়েছে মহারাষ্ট্রে। বুধবার ওই রাজ্যে একদিনে সর্বাধিক রোগীর (১২২ জন) মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে ওই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৮৭ জনে ঠেকেছে। আর আক্রান্ত প্রায় পৌনে এক লাখ। 

মহারাষ্ট্রের পরেই করোনা সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু, ওই রাজ্যে এই নিয়ে পরপর ৪ দিন দৈনিক ১ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। দক্ষিণের রাজ্যটিতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার পেরিয়ে গেছে।

এদিকে রাজধানী দিল্লিও ভুগছে করোনা আতঙ্কে। সেখানে মোট ২৩ হাজার ৬৪৫ মানুষ করোনায় ভুগছেন। দেশের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী এখন দিল্লিতেই।

আসামেও দ্রুত হারে বাড়ছে সংক্রমণ। গত একদিনের মধ্যে সেখানে নতুন করে ২৬৯ জন নতুন করোনা রোগী ধরা পড়েছে। এতে আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ জন। 

রাজ্য সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আসামের ৯০ শতাংশেরও বেশি রোগীর শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না, যা আরও আশঙ্কার।

এর আগে বুধবার মাত্র ১৫ দিনে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ পূর্ণ করে। যার জন্য লকডাউন শিথিল করাকেই দায়ী করছেন দেশটির চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। 

এআই//