ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরালে কঠোর ব্যবস্থা: কেজরিওয়াল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ৬ জুন ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৮:১৩ পিএম, ৬ জুন ২০২০ শনিবার

করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন কাউকে ফেরাতে পারবে না দিল্লির কোনও হাসপাতাল। কোভিড-রোগীদের ফেরালে হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সমালোচনা তথা একাধিক নালিশ আসার পর হুঁশিয়ারি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল।

তাঁর দাবি, বেড থাকা সত্ত্বেও বহু হাসপাতাল তা নিয়ে কালোবাজারি করছে। এমনকি, কোভিড-১৯ সন্দেহভাজনদেরও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেজরীবালের সতর্কবার্তা, যে সমস্ত হাসপাতাল থেকে এমন অভিযোগ আসছে, তাদের রেয়াত করা হবে না।

শনিবার এ নিয়ে একাধিক টুইটও করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, দিল্লির হাসপাতালে বহু বেড খালি রয়েছে। টুইটারে কেজরীওয়াল লিখেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত (দিল্লিতে) বেডের অভাব নেই। ৮ হাজার ৬৪৫টি বেডের মধ্যে ৪ হাজার ৩৮টি ভর্তি এবং ৪ হাজার ৬০৭টি খালি পড়ে রয়েছে। তবে কেউ কেউ অ্যাডমিট করতে চাইছেন না। আমরা তাঁদের রেয়াত করব না। কয়েক দিন সময় দিন। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।’’

করোনার উপসর্গ রয়েছে, এমন বহু রোগীকেই দিল্লির কিছু হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকে। সে সবেরই এ দিন জবাব দিয়েছেন কেজরীবাল। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি হাসপাতাল কোভিড-১৯ রোগীদের ভর্তি করতে অস্বীকার করছে। যারা ভাবছে অন্য দলের রক্ষাকর্তাদের সাহায্যে তারা বেডের কালোবাজারি করতে পারবে, আমি তাদের সাবধান করে দিচ্ছি, কারোকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না।’’

দেশে করোনা-আক্রান্তের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। এ দিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৩৪। এর মধ্যে সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগী ১৫ হাজার ৩১১। ইতিমধ্যে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৭০৮ জন করোনা-সংক্রমিতের। এই আবহে রাজধানীর বহু হাসপাতালের বিরুদ্ধে করোনা রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে দিল্লির আপ সরকার। সরকার যে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, মনে করিয়ে দিয়েছেন কেজরীওয়াল। এ নিয়ে তদন্তের প্রতিশ্রতিও দিয়েছেন তিনি। কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘বিষয়টি মেটানোর জন্য দয়া করে আমাদের কয়েক দিন সময় দিন। আমরা তদন্ত করব এবং বেড থাকা সত্ত্বেও যারা রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।’’

করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির কথা বললেও উপসর্গহীনদের জন্য এখনও পদক্ষেপ করতে তেমন উদ্যোগী নয় কেজরীওয়াল সরকার। কেজরীওয়ালের মতে, সমস্ত উপসর্গহীনদের পরীক্ষার জন্য হাজির হলে দিল্লির স্বাস্থ্য পরিকাঠামোই ভেঙে পড়বে। তবে উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের যাতে হাসপাতাল থেকে ফিরে না আসতে হয়, সে জন্য একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেজরীওয়াল। বেড নিয়ে কালোবাজারি রুখতে তা কাজে আসবে বলে মনে করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

এসি