ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

দোষ করল স্ত্রী, শাস্তি পেল ফুটবলার স্বামী!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৪ পিএম, ৬ জুন ২০২০ শনিবার

ফুটবলার আলেক্সান্দার কাতাই ও তার স্ত্রী।

ফুটবলার আলেক্সান্দার কাতাই ও তার স্ত্রী।

দোষ করল স্ত্রী, সেই দোষের জন্য ক্ষমাও চাইলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। শাস্তি পেতে হলো ফুটবলার স্বামীকে। আট মিনিটের একটি ভিডিও দুনিয়া তোলপাড় করে দিয়েছে। জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গলায় হাঁটু চেপে খুন করেছেন এক পুলিশকর্মী। আমেরিকার এই ঘটনার রেশ ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। 

সেই আট মিনিটের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কতটা ঠাণ্ডামাথায় নৃশংসভাবে খুন করে হয়েছে ফ্লয়েডকে। যদিও আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের উপর নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে ফ্লয়েডের ঘটনা নতুন করে অনেক বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে সারা বিশ্ব। কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি এমন ঘৃণার কারণ কী! কতদিন স্রেফ গায়ের রঙের জন্য নির্যাতন সহ্য করতে হবে কৃষ্ণাঙ্গদের! এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় সারা বিশ্বের বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মানুষ। 

গত ২৫ মে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্মমতার ছবি দেখেছে সারা বিশ্ব। তার পরই আমেরিকাজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ চলছে। কেন এমন ভয়ঙ্কর আচরণ করা হচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে! জানতে চান বিক্ষোভকারীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ণবাদী আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। 

আমেরিকার প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তো সরাসরি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ করাতে চাইছেন। এমনকী তিনিই আমেরিকায় বর্ণবাদের মূল হোতা বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। গোটা আমেরিকা এখন ফ্লয়েডের মৃত্যুশোকে কাতর। 

তবে এলএ গ্যালাক্সির ফুটবলার আলেক্সান্দার কাতাইয়ের স্ত্রীকে এসব স্পর্শ করছে না। বরং তিনি বিক্ষোভে রীতিমতো বিরক্ত। আর তাই বিক্ষোভকারীদের জঘন্য গবাদি পশু বলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন তিনি। ফ্লয়েডের মৃত্যুর জন্য বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত তো নন-ই। উল্টো ক্ষুব্ধ! আর সেটা তিনি প্রকাশ্যেই বললেন। এতে তার অবশ্য কোনও ক্ষতি হল না। 

এমনকী তিনি বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের অবিলম্বে মেরে ফেলা উচিত। একদিন নয়, গত কয়েকদিনে লাগাতার বর্ণবাদী পোস্ট করেছেন সার্বিয়ান মিডফিল্ডারের স্ত্রী। আর তার শাস্তি এবার পেলেন কাতাই। চাকরি হারালেন তিনি।

আধুনিক ফুটবলে চুক্তি সব সময় ফুটবলারদের পক্ষে। চুক্তিতে ফুবলারদের স্বার্থ রক্ষিত হয়। আর তাই অনেক সময় চোটাক্রান্ত ফুটবলারকেও বাদ দিতে পারে না ক্লাব। চুক্তি বহাল রাখতে হয়। ফিফা এই ব্যাপারে কড়া অবস্থানে থাকে। কিন্তু কাতাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্য। এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল ক্লাব। তার স্ত্রীর বর্ণবিদ্বেষী আচরণের জন্যই ভুগতে হল তাকে। 

কাতাই অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, তিনি তার স্ত্রীর মানসিকতার সঙ্গে সহমত নন। এমনকী তার পরিবারের কেউই এই মানসিকতাকে সমর্থন করেন না। কিন্তু লাভ হয়নি। কাতাইকে ছাঁটাই করেছে তার ক্লাব।

এনএস/