ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনার চিকিৎসা মিলছে যেসব হাসপাতালে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ৯ জুন ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৫৬ পিএম, ৯ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

করোনাভাইরাস নতুন ধরনের এক মহামারী। এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে কী করবেন, কোথায় চিকিৎসা মিলবে এসব অনেকেরই জানা নেই। তাই অনেকেই এসব কারণে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু আপনার জেনে রাখা ভাল যে, অনেকগুলো হাসপাতালে বিনা খরচে করোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে রেখেছে সরকার। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এখন ৫০ শয্যার বেশি যে কোনো হাসপাতাল কোভিড-ননকোভিড দুই ধরনের রোগীই সেবা পাবেন। জেলাভিত্তিক যে হাসপাতালগুলো রয়েছে প্রতিটি হাসপাতালে করোনা ইউনিট খোলা চালু আছে। এখানে গেলেই টেস্ট ও চিকিৎসা ব্যবস্থা বিনামূল্যে পাবেন।

এছাড়া করোনা উপসর্গ দেখা দিলে ফোনের মাধ্যমেও আপনি সহায়তা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে  জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নম্বর: ১০৬৫৫ ও ০১৯৪৪৩৩৩২২২, স্বাস্থ্য বাতায়নের হটলাইন নম্বর ১৬২৬৩, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ৩৩৩-এ যোগাযোগ করতে পারেন।

তবে রোগীরা সংকটাপন্ন বোধ করলে হাসপাতালে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। সেক্ষেত্রে যাঁদের বয়স বেশি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা আছে, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। তবে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, এমন রোগীরাও হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন।

কোভিড-১৯ উপসর্গের রোগীরা কোথায় গেলে কী ধরনের চিকিৎসা পাবেন। সে সম্পর্কে এবার জেনে নিন...

সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য রাজধানীতে রয়েছে কয়েকটি হাসপাতাল। এগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ  কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মহানগর হাসপাতাল, আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল। এসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা করাতে কোন টাকা-পয়সা লাগে না। এছাড়া আরও রয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জের সাজেদা ফাউন্ডেশন।

* ঢাকা মেডিকেল কলেজ-২ (নতুন ভবন) বা বার্ন ইউনিটের নিচের জরুরি বিভাগে প্রথমে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৯১০। এর মধ্যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের শয্যা সংখ্যা ৪৮। এখানে ডয়ালাইসিস মেশিন আছে ৩০টি। 

* রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ৫০০ শয্যার, আইসিইউ শয্যা ২৭, ডায়ালাইসিস মেশিন আছে ৩২টি। 

* সবুজ থানায় রয়েছে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এখানে শয্যা সংখ্যা ৫০০, আইসিইউ শয্যা ১০টি, ডায়ালাইসিস মেশিন ৩২টি।

* উত্তরায় আছে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ২৫০, আইসিইউ শয্যা ২৬টি ও পাঁচটি ডায়ালাইসিস মেশিন।

* মহানগর জেনারেল হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১৫০, আইসিইউ শয্যা ৫, ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই।

* আনোয়ার খান মর্ডার্ন হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ২০০, দশটি আইসিইউ ও ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা আছে। এখানে আইসোলেশন শয্যা আছে ৩০টি। 

* হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৪০০, আইসিইউ শয্যা ১০টি, ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা আছে।

* রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ৫০টি করে শয্যা আছে, প্রতিটিতে তিনটি করে আইসিইউ শয্যা আছে। তবে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা নেই।

* নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সাজেদা ফাউন্ডেশনে ৫০টি শয্যা আছে, আইসিইউ শয্যা আছে পাঁচটি। ডায়ালাইসিস মেশিন আছে ১টি। 

এছাড়া মাঝারি উপসর্গের রোগীদের জন্য রয়েছে রেলওয়ে হাসপাতাল। যাদের শুধু অক্সিজেন হলেই চলবে, তাঁদের জন্য এই হাসপাতাল। এখানে ৪০টি শয্যা রয়েছে, তবে এখানে আইসিইউ বা ডায়ালাইসিস সেবার ব্যবস্থা নেই।

বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দুই হাজার। এই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র বা ডায়ালাইসিস সেবার ব্যবস্থা নেই। এখন পর্যন্ত বাহিরের কোন রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না এখানে। বর্তমানে এই হাসপাতালটিতে দুই শতাধিক র‌্যাব সদস্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, খুব তাড়াতাড়ি সবার জন্য ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারবেন।

কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে ৪৪টি কিয়স্ক বুথ বসানো হয়েছে। এই বুথগুলোতে চলছে সন্দেহজনক করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ। এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারবেন আপনি করোনা পজেটিভ না নেগেটিভ।

এএইচ/এমবি