ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কমিউনিটি ক্লিনিকে বাড়ছে রোগী, ঝুঁকি নিয়েই স্বাস্থ্যসেবা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২০ পিএম, ৯ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

বাগেরহাটে কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি চিত্র; ছবি- একুশে টেলিভিশন।

বাগেরহাটে কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি চিত্র; ছবি- একুশে টেলিভিশন।

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা। অন্যান্য সময়ের থেকে ক্লিনিকে রোগীও বেড়েছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছে অনেকে।

বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ২০৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এরমধ্যে বাগেরহাট সদরে ৩২, কচুয়ায় ১২, মোরেলগঞ্জে ৫১, শরণখোলায় ১৯, মোংলায় ১৩, রামপালে ২৪, ফকিরহাটে ১৬, চিতলমারিতে ১৯ এবং মোল্লাহাটে ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকগুলোর বেশিরভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। প্রতিটি ক্লিনিকে নিরাপত্তা সামগ্রী পিপিই, মাস্ক, সেনিটাইজার, হ্যান্ডগ্লোভস দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশমতে সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন। এছাড়া একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও মাঠ পর্যায়ে কাজের জন্য নিযুক্ত ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার অ্যাসিসটেন্ট সপ্তাহে তিনদিন করে ক্লিনিকগুলোতে সেবা দিচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি শুরুর প্রথম দিকে রোগী কম থাকলেও মে-জুন মাসে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্লিনিকের ভঙ্গুর অবকাঠামো, হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অযোগ্যতায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।

বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: প্রদীপ কুমার বকসী বলেন, উপজেলার ৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিকে করোনা সংক্রমণের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও উপজেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়েছে। শরীর থেকে স্যাম্পল গ্রহনের উপর ১ দিনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে সিএইচসিপিদের। করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে সদর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নিরবিচ্ছিন্নভাবে তৃণমূল মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। সিএইচসিপিদের অগ্রণী সাহসী ভূমিকার জন্য যা সম্ভব হচ্ছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, করোনাকালে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পূর্বেকার মাসে যেখানে দেড় লাখ রোগী সেবা নিতো, সেখানে করোনা আতঙ্কে এক লাখে নেমে আসে। আমাদের সচেতনতার ও বিভিন্ন পদক্ষেপে কমিউনিটি ক্লিনিকমুখী রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিমাসে ১০ থেকে ১২ হাজার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সিএইচসিপিদের সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি কমিউনিটি ক্লিনিকের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।

এনএস/