ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

করোনা বদলে দিলো ক্রিকেটের নিয়ম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ পিএম, ১০ জুন ২০২০ বুধবার

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটে। শুধু আর্থিকভাবেই নয়, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এবার বদলে গেল ক্রিকেটের পাঁচটি নিয়মও। সম্প্রতি ক্রিকেটের পাঁচটি নিয়ম বদলে ফেলেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

এদিকে, আগামী ৮ জুলাই থেকে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজ দিয়ে আবারো মাঠে ফিরতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তাই ওই সিরিজকে সামনে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা -আইসিসি নতুন নিয়ম জারি করলো। যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে, ততদিন ক্রিকেটের নতুন এই পাঁচটি নিয়ম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইসিসি।

মঙ্গলবার (৯ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, ‘টেস্ট ম্যাচে কোনও ক্রিকেটারের শরীরে যদি করোনা সংক্রমণ দেখা যায়, তাহলে তার বদলি নেয়া যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে ম্যাচ রেফারির অনুমোদন লাগবে। টেস্টে এই নিয়ম চালু হলেও ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোন পরিবর্তিত খেলোয়াড় নেওয়া যাবে না। এছাড়া, থুথু'র ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে। কোনও ক্রিকেটার এই নিয়ম ভাঙ্গলে আম্পায়ার প্রথমে সতর্ক করে দিবেন। সর্তক করার পরও বলে থুথু ব্যবহার করলে ব্যাটিং দলকে অতিরিক্ত পাঁচ রান দেয়া হবে। সংক্রমণ এড়াতে স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার করতে হবে।’

আইসিসির নতুন নিয়মগুলো হলো- করোনা সাব বা বদলি, বলে লালা বা থুথু ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা, অতিরিক্ত রিভিউ সিস্টেমের অনুমতি এবং জার্সিতে বাড়তি লোগোর ব্যবহার।

বলে থুথু ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা:
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খেলোয়াড়রা ম্যাচ চলাকালীন বলে থুথু ব্যবহার করতে পারবে না। কেউ যদি অভ্যাসবশত ভুলে ব্যবহার করে ফেলেন, তাহলে আম্পায়াররা সর্তক করে দিবেন। সর্তক করার পরও একই কাজ বারবার করলে ব্যাটিং দলকে পাঁচ রান দিয়ে দেয়া হবে। প্রতি ইনিংসে একটি দলকে সর্বোচ্চ দুইবার সর্তক করা হবে। থুথু ব্যবহার হলে সেটি ভালোভাবে মুছে, আবার খেলা শুরু করতে হবে।

করোনা সাব:
গত অ্যাশেজ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চালু হয় কনকাশন সাব। অর্থাৎ টেস্ট ম্যাচে কোন খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে তার পরিবর্তে নামানো হয় একই ক্যাটাগরির অন্য খেলোয়াড়কে। সে নিয়মের সঙ্গে এবার যোগ হলো করোনা সাব। টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোন খেলোয়াড়ের মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায় বা আক্রান্ত খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে, তবে ম্যাচ রেফারির অনুমতি নিয়ে অন্য একজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামানো যাবে। এ নিয়মটি শুধুমাত্র টেস্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা:
সাধারনত দ্বিপাক্ষীক সিরিজে একজন নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ার থাকে। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে যারা স্বাগতিক থাকবে, তারা স্থানীয় বা ম্যাচ খেলা দু’দেশের আম্পায়ারদের দিয়েই খেলা পরিচালনা করতে পারবে। কারন ভ্রমনে বিধি-নিষেধ থাকার কারনে নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে এই মূর্হুতে ম্যাচ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই আইসিসিই তাদের আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের প্যানেলভুক্ত আম্পায়ারদের মধ্য থেকে আম্পায়ার ও রেফারি ঠিক করে দিবে।

অতিরিক্ত ডিআরএস:
সাধারনত টেস্টে ২টি, ওয়ানডে ও টি-২০তে একটি করে ডিআরএস ব্যবহার হতো। কিন্তু করোনা পরবর্তী টেস্টে প্রতি ইনিংসে তিনটি ডিআরএস, ওয়ানডে ও টি-২০তে দু’টি করে ডিআরএস নেয়া যাবে। অর্থাৎ করোনার কারণে তিন ফরম্যাটে একটি করে ডিআরএস বেড়ে গেল।

জার্সিতে বাড়তি লোগো:
আগামী ১২ মাসের জন্য জার্সিতে বাড়তি লোগো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। তবে সেটি ৩২ স্কয়ার ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না। খেলোয়াড়দের বুকে লোগো থাকবে। আগে টেস্টে এটি ব্যবহার হতো না। ব্যবহার হতো কেবল ওয়ানডেতে। এছাড়া বাকি তিনটি লোগো ব্যবহারের নিয়ম-নীতি আগের মতোই থাকবে।

এনএস/