ঢাকা, শনিবার   ০৯ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৪ ১৪৩২

ফিরছে পাটের সুদিন

প্রকাশিত : ০২:২২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০২:২২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৭ রবিবার

আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পাট পণ্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার। ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সেমিনারে পাট প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ছে বলে বিশ্ববাজারে সম্ভাবনার জায়গা তৈরি হয়েছে। এ শিল্পকে লাভজনক খাতে পরিণত করতে কাঁচা পাটের ক্রয়মূল্য এবং পণ্যের বাজার দরে সামঞ্জস্যতা আনাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেন বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তারা। একসময় দেশের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিলো সোনালী আঁশ, পাট। শিল্প বিকাশে গড়ে উঠেছিলো আদমজী, বাওয়ানির মতো বড় বড় কারখানা। তবে নানা কারণে মেরে ফেলা হয় এ ঐতিহ্যকে, লাভজনক এ খাতকে পরিণত করা হয় লোকসানি খাতে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে বিএনপি সরকার বন্ধ করে দেয় আদমজী পাটকল। বেকার হয় হাজার হাজার শ্রমিক। তবে বদলে যাওয়া দিনে আবারো ফিরছে পাটের সুদিন। পাট শিল্প বিকাশে কাজ করছে সরকার। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ইআরএফ এর আয়োজনে “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পাট খাতের সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে এ শিল্পের সম্ভাবনার কথাই তুলে ধরেন বক্তারা। বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতে কাঁচাপাটের উৎপাদন খরচ কম বলেই খাতটি লাভজনক। এ শিল্প থেকে বিলিয়ন ডলার আয়ে ভর্তুকি কাঠামো পরিবর্তনের সুপারিশ করেন তারা। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে গবেষণার তাগিদ দেন উদোক্তারা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বস্ত্র ও পাটি প্রতিমন্ত্রী জানান, এ খাতে দুর্নীতি যে নেই, তা নয়। তবে দুর্নীতি রোধ করে লোকসানের পরিমাণ কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। পাটকল ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম তদারকি করে শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ালে এ খাতের সম্ভাবনা অসীম বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।