ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

টেকনাফের নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপে হচ্ছে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্ক

প্রকাশিত : ১০:০৪ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১০:০৪ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৭ বুধবার

  ক্যাবলকার, ঝুলন্ত সেতু, বিশেষ ইকো-রিসোর্টসহ, বিশ্বমানের পর্যটন সুবিধা রেখে, টেকনাফের নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপে হচ্ছে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্ক। এরিমধ্যে, ভূমি উন্নয়নের কাজও শুরু করেছে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেজা। আগামি ২/৩ বছরের মধ্যেই পর্যটন খাতে দেশের প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা ভোগ করবেন পর্যটকরা। দিগন্ত বিস্তৃত সমূদ্র আর উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের অবিরাম গর্জন, সুবিশাল নাফ নদী, পাশাপাশি পাহাড়ের নান্দনিক প্রাকৃতিক সৈন্দর্য্যে এক লীলাভূমি, সীমান্তবর্তী টেকনাফ। এই সমৃদ্ধ পর্যটন ক্ষেত্রটির আরো উপভোগ্য করতেই, এখানে সরকার দেশের প্রথম পর্যটনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে গেল বছর, ফেব্র“য়ারিতে। এই প্রকল্পে, সমূদ্র ঘেষা সাবরাং এ অধিগ্রহন করা হয়েছে, ১ হাজার ১ শ ৬৫ একর জমি। কিন্তু, অনাকাংঙ্খিত ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায়, কৌশল পরিবর্তন করে, শক্ত বাধ নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বেজা। আর তাই, এখন নাফ নদীর, জালিয়ার দ্বীপে এক্সক্লুসিভ পর্যটন পার্ক অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সেলক্ষ্যে, এখানে, ২ শ ৭১ একর জমিতে, জরিপ ও  সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। চলছে, জেটি নির্মান ও ভূমি উন্নয়নের কাজ। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে, দুই-তিন বছরের মধ্যেই, বিশ্বমানের নানান পর্যটন সুবিধা পর্যটকদের হাতের নাগালে, এনে দিতে চান, সংশ্লিস্টরা। এর মধ্যে-থাকবে, ঝুলন্ত ব্রিজ, কেবল কার,  বিশেষ ইকো কটেজ-রিসোর্ট, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, নাইটক্লাব, বার, ক্রাফট মার্কেট, ল্যান্ড স্কেপিং, অ্যাকুয়া পার্কসহ আরো অনেক কিছু। আন্তর্জাতিক সীমা থেকে, সাড়ে ৭ শ গজ দূরে হলেও, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে এই পার্কে’র নিরাপত্তায় কোন শংকা নেই বলে, জানিয়েছে বিজিবি। সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব বা পিপিপি’র আওতায় এই প্রকল্পটি পরিপূর্ণ পরিবেশ বান্ধব করার বিষয়ে সর্তক সংশ্লিষ্টরা।