ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে পৌরটোল বন্ধের দাবীতে শ্রমিকদের পৌরসভা ঘেরাও

 ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি  

প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পিএম, ২৩ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে চলমান ইজিবাইকের উপর পৌর টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি ও  ইজিবাইক শ্রমিকদের উপর সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও  ও শহরের চৌরাস্তায় অবস্থানসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ঠাকুরগাঁও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোটভাই পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিনের কুশ পুত্তলিকা দাহ করে।

কর্মসূচী চলাকালে তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুব আলম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আবু আসলাম সহ অন্যান্য শ্রমিক নেতা।

বক্তারা বলেন, এই করোনাকালে সারা দেশের শ্রমিকদের মত ঠাকুরগাঁয়ের ইজিবাইক শ্রমিকরাও চরম অভাব দুর্দসার মধ্যে দিনতিপাত করছে । দুই মাস লকডাউনে গাড়ি চালাতে না পেরে ব্যাটারি ড্যামেজ হয়েছে , ঋণ করে সংসার চালাতে গিয়ে ঋণ গ্রস্থ হয়েছে । এখন কিছুটা যানবাহন চলাচল করলেও তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরপর আবার এনজিও’র ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পারায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেক শ্রমিক। এই রকম অবস্থায় যখন শ্রমিকদের খেয়ে বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে তখন ঠাকুরগাঁও পৌরসভা আবার নতুন করে এই অর্থবছরে (২০২০-২০২১) ইজিবাইকে চালকদের উপর অতিরিক্তহারে টোল ধার্য করেছে। অথচ ইজিবাইক শ্রমিকরা গত এক বছর ধরে টোল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। শ্রমিকদের দাবির সাথে একমত পোষণ করে ইতিপূর্বে পৌর মেয়র টোল বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মেয়র শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে টোল আদায়ের ইজারার ডাক দিয়েছেন।

বক্তাগন বলেণ, এই টোল ইজারায় যতটানা পৌরসভা আয় করে তার থেকে ৫০ গুন বেশী আয় করে টোল আদায়কারীরা। গত অর্থবছর ২০১৯-২০২০ সালে পৌরসভা ৪ লাখ টাকায় ইজারা দিয়েছিল আরআদায়কারী আয় করেছিল প্রায় ২ কোটি টাকা ।

অন্যদিকে ইজিবাইক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল টোল বন্ধ করে লাইসেন্সের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এখন পৌরসভা লাইসেন্স ও টোলইজারা বাবদ প্রায় ১৭ -১৮ লাখ টাকা আয় করে অথচ সমপরিমাণ টাকা পৌরসভা বর্তমান লাইসেন্সের সংখ্যা দুই হাজার থেকে তিন হাজারে উন্নিত করতে পারলেই আয় করতে পারে। তাহলে এই টোল কেন ? কার সার্থে ? এ সসময় পৌর টোলের নামে চাঁদা বাজি বন্ধ না হলে এই ইজিবাইক শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে হুশিয়ারি আসে কর্মসূচী থেকে।

আরকে//