ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

চট্টগ্রামে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি নিহত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ২৭ জুন ২০২০ শনিবার

চট্টগ্রাম’র মানচিত্র

চট্টগ্রাম’র মানচিত্র

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গারাংগিয়া মাদ্রাসা এলাকার কতোয়াল দিঘির পাড় এলাকায় দীঘির পাড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে  এক হত্যা মামলার আসামী নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, আব্দুল হান্নান ওরফে মো. সোহেল  যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেকুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তিনি বারদোনা ৭ নম্বর ওয়ার্ড আদর্শপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
 
আজ শনিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতকানিয়া থানার ৫ পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন অস্ত্র, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।

স্থানীয় থানা পুলিশ জানায়, মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাকদ ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান ওরফে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিমতে মোসাদ্দেক হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারে দক্ষিণ রূপকানিয়া গাজীর পাড়া কতোয়াল দিঘির পূর্ব উত্তর পাড়ে যায় পুলিশ। সেখানে পূর্ব থেকে একদল লোক ইয়াবাসেবন এবং তাস খেলতেছিল। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এসময় আসামি সোহেল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় উভয়পক্ষের গোলোগুলিতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, ‘গভীর রাতে সাতকানিয়া সদরে দক্ষিণ রূপকানিয়ার গাজীপাড়ার কুতুবুর দীঘির পাড় এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে সোহেলের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে।’

উল্লেখ্য, গত ২২ জুন বিকালে সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা এলাকায় মোসাদ্দেক ও তার ছোট ভাই ফয়সালসহ মাদক নির্মূল কমিটির আরও কয়েকজন মিলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সোহেলের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোহেল অতর্কিতভাবে মোসাদ্দেক ও ফয়সালকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় খুন হন যুবলীগকর্মী মোসাদ্দেকুর রহমান। এ সময় মোসাদ্দেকুর রহমানের ভাই ফয়সালুর রহমানকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন সোহেল।

এমএস/