ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

লালমনিরহাটে অপরিবর্তিত বন্যা পরিস্থিতি, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ২৮ জুন ২০২০ রবিবার | আপডেট: ১০:৫৪ পিএম, ৪ জুলাই ২০২০ শনিবার

তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অপরিবর্তিত রয়েছে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি। উজানে  আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে শনিবার রাতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এমন অবস্থায় দাবি উঠেছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।

তবে পানি কিছুটা কমে আজ রোববার সকাল থেকে তা ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

আগাম এ বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চর ও নদী তীরবর্তী এলাকার চাষিরা। পানির নিচে তলিয়ে গেছে শতাধিক হেক্টর জমির আমন বীজতলা, কয়েক হাজার একর জমির ভুট্টা, বাদাম ও পাট, যা এখনও পানির নিচে। ফসল ঘরে তোলার সময় বন্যার ধকলে পড়ায় চরের কৃষকরা হয়ে পড়েছেন দিশেহারা। 

জেলার ৫টি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের মানুষজন পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সবচেয়ে বেশি দুরবস্থায় পড়েছেন আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী, সানিয়াজান, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের মানুষ।

চরাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধ ও সরকারি রাস্তার উপর। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির চরম সঙ্কটে রয়েছেন পানিবন্দী লোকজন। বন্যা দুর্গত মানুষজন সরকারের কাছে ত্রাণ সহায়তা না চেয়ে তারা তিস্তাপাড়ে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন। 

এআই//