ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘ওয়েব সিরিজ’ নিয়ে মুখে কুলুপ অর্ষার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ২৯ জুন ২০২০ সোমবার

নাজিয়া হক অর্ষা। টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন তিনি। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। ওয়েব সিরিজ ‘বুমেরাং’ দিয়েই আলোচনা শুরু। সিরিজটিতে বেশ কিছু আপত্তিকর দৃশ্যে অভিনেত্রীর সরল উপস্থিতি তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। অনেকটা ক্যারিয়ারের তলানিতে নামিয়ে দিয়েছে। এ ক’দিনে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন তিনি। তবে এখন আর এই বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না অর্ষা। 

এ নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশি কন্টেন্ট অবলীলায় দেখতে পারি। কিন্তু নিজের দেশের কিছু হলেই সমালোচনার ঝড় তুলি। ওয়েব সিরিজটি নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে আর নতুন কিছু বলার নেই। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদেরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন তারা আসলে কতটা ঠিক?’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ক’দিন ধরে বরেণ্য সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ম্যাডামকে নিয়েও এরা বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েনি। আমি মনে করি এদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন।’

আগামীর কাজ নিয়ে অর্ষা বলেন, ‘গেল কয়েক বছর শুনে আসছি গতানুগতিক কাজ করছি। আমিও এমন কাজ করে করে বোরিং হয়ে পড়েছি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করবো।’

বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো শুটিং শুরু করিনি। এই মাসে শুটিংয়ের কোনো শিডিউল রাখিনি। দিনে দিনে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এখন শুটিং করার কথা ভাবছি না। তবে আগামী মাসে শুটিং করার পরিকল্পনা আছে। সেই সময়ে ঈদের কিছু কাজ করবো।’

উল্লেখ্য, দেশের বিনোদন জগতে কিছু দিন ধরে চলছে সমালোচনার ঝড়। কারণ একটাই, ওয়েব সিরিজের নামে অবলীলায় চলছে অশ্লীলতা। আর এতে অভিনয় করছেন দেশের জনপ্রিয় তারকারা। সেন্সরশিপ না থাকায় জনপ্রিয় নির্মাতাদের নির্মিত ওয়েব ধারাবাহিক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো এখন আর পারিবারিকভাবে দেখার অবস্থায় নেই। কারণ গল্পে থাকছে অশ্লীল সংলাপ এবং সহিংসতার দৃশ্য থাকে এসব ওয়েব সিরিজে। বলা যায় ব্যবসায়িক স্বার্থে দর্শক টানতে বিদেশী অনুষ্ঠানগুলোর সাথে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন দেশের কনটেন্ট নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পীরা।

উদ্ভট গল্প, অশালীন দৃশ্য, নোংরা সংলাপ ব্যবহার যেন নতুন কোনো বিষয় নয়। ওয়েব সিরিজের নামে এ এক অতিমাত্রার সুরসুরি ও যৌনতা। অনেকটা নীল ছবির নতুন রূপ। গল্পের প্রয়োজনে গালি ব্যবহার করা হলেও টিভি নাটকের সেই অংশের শব্দটুকু সাধারণত মুছে দেওয়া হয়। মাদকদ্রব্য ব্যবহার ও  সেবন করার দৃশ্যে ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ লেখা থাকে। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ওয়েব সিরিজে এ ধরনের সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি। 

স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও ইউটিউবে মুক্তি পেয়ে রীতিমতো বিতর্ক উসকে দিয়েছে এই ওয়েব সিরিজগুলো। ফেসবুক, ইউটিউবের মত ওপেন প্লাটফর্মে এসব অশ্লীলতা দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির জন্য যেমন অশনি সংকেত, তেমনি তরুণ ও যুব সমাজের জন্য ভয়ংকর হিসেবে দেখছে মূলধারার শিল্পী ও নির্মাতারা।
এসএ/