ঢাকা, শনিবার   ২৩ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৭ ১৪৩২

খোন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৫ পিএম, ২৯ জুন ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৫:০১ পিএম, ৩০ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

‘গেদু চাচার খোলা চিঠি’ কলাম লিখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনকারী বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার মোজাম্মেল হকের (৬৮) মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোজাম্মেল হক আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।

মোজাম্মেল হকের মৃত্যুর খবর শুনে এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিসেবে মোজাম্মেল হকের অবদান স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সমবেদনা জানান।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, খোন্দকার মোজাম্মেল হক রাজধানীর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে মারা যান। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে খন্দকার মোজাম্মেলের মৃত্যু হয়েছে বলে সোহেল জানান।

সোহেল হায়দার জানান, খোন্দকার মোজাম্মেলের মরদেহ মঙ্গলবার ফেনীতে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মোজাম্মেল হক স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এদিকে সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে ফেনী সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা গভীর শোক প্রকাশ করেছে। আজ এক শোকবার্তায় ফেনী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তানভীর আলাদিন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ ভুঁইয়া গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা, মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

প্রসঙ্গত, 'গেদু চাচা' খ্যাত মোজাম্মেল হক আশির দশকে সাপ্তাহিক 'সুগন্ধা'র সম্পাদক ছিলেন। তারপর তিনি সূর্যোদয় নামে আরেকটি সাপ্তাহিকও প্রকাশ করেন। এরপর 'আজকের সূর্যোদয়' পত্রিকার তিনি ছিলেন প্রধান সম্পাদক। মোজাম্মেল হক ছিলেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। তার লেখা 'গেদু চাচার খোলা চিঠি' ছিল ওই সময় খুবই জনপ্রিয়। আশির দশকে গণআন্দোলনের সময় সরকারকে ব্যঙ্গ করে সাদামাটা ভাষায় লেখা হতো গেদু চাচার খোলা চিঠি। নব্বইয়ের দশকে দুই নেত্রীকে তার লেখা 'গেদু চাচার খোলা চিঠি'ও ছিল একই রকম পাঠকপ্রিয়।

এসি