পুলিশ নতুন করে জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে বিশ্লেষণ শুরু করছে
প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ২০ মার্চ ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১১:৩১ এএম, ২০ মার্চ ২০১৭ সোমবার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আস্তানায় অভিযানের পর পুলিশ নতুন করে জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে বিশ্লেষণ শুরু করছে। তারা বলছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো এবং পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় চট্টগ্রামকে বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে আস্তানা গড়ে তুলছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভাড়া নিয়ে সীতাকুণ্ড কলেজ ঘেঁষা প্রেমতলা চৌধুরী পাড়ার এই বাড়িতে আস্তানা গড়ে তোলে জঙ্গিরা। ভবনের নীচ তলার তিনটি কক্ষে বানানো হতো বোমা। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এ’সব বোমার প্রতিটির ওজন ৪ থেকে ৫ কেজি। বড় ধরণের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর ক্ষমতা ছিলো এ’সব বোমার।
আত্মঘাতি বোমা হামলায় নিহত ৪ জঙ্গির মধ্যে তিন জন হচ্ছে কামাল, তার স্ত্রী জোবাইদা ইয়াসমিন ও তাদের ৮ মাসের শিশুপুত্র ইমাম হোসেন।
ছায়ানীড়ের ওই বাড়ির দু’টি কক্ষে এখনো বিস্ফোরক থাকার কথা জানিয়ে পুলিশ বলছে, জঙ্গিদের নতুন টার্গেট সীতাকুণ্ড, পটিয়া, হাটহাজারী এবং দুর্গম পাহাড়ী এলাকা ফটিকছড়ি।
এদিকে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে জঙ্গি তৎপরতার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিল কাউন্টার ইন্টিলেজেন্স টিম সহ পুলিশ হেডকোর্য়ার্টার। পুলিশ বলছে, জঙ্গিরা কৌশল পরিবর্তন করেছে। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ মনে করে আস্তানা গড়ে তুলছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায়।
জঙ্গিরা যাতে শক্তি সঞ্চয় করতে না পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।