ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ২ ১৪৩১

করোনায় বহুপাক্ষিক উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ সাবেক কূটনীতিকদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৯ পিএম, ৩ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূতরা।

বৈশ্বিক সমস্যা করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা এবং বাংলাদেশের জন্য করণীয় নির্ধারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তারা এ মতামত দেন। বৃহস্পতিবার তাদের সাথে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।

আলোচকগণ ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি ও করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য স্বল্প, মধ্যও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেন। বাংলাদেশের ওপর করোনা মহামারির সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরও যেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকগণ। সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটামুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির প্রশংসা করেন তাঁরা।

বাংলাদেশের সাথে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচকগণ।

এছাড়া বক্তারা করোনার টিকা আবিস্কৃত হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশসমূহ যাতে উন্নত বিশ্বেরমত একইভাবে উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

এসময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত কোভিড-১৯ তহবিল গঠনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করা হয়। এছাড়া গ্লোবাল ভ্যাকসিনেসন সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন সাবেক কূটর্নীতিকগণ।

এসময় সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন এম আর ওসমানী, ফারুক সোবহান, সি এম শফি সামি, শমসের মোবিন চৌধুরী, এ. কে. এম আতিকুর রহমান, মো. শহিদুল হক, মো. আব্দুল হান্নান, হুমায়ুন কবির, আহমদ তারিক করিম ও মহসীন আলী খান।

পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাবেক এসব কূটনৈতিকদের সুপারিশসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাবেক এ কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।

এ ধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। ইতোপূর্বে বিদেশস্থ বাংলাদেশের মিশনসমূহে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সাথেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসি