ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

করোনায় অবসর

ধামইরহাটে মাছ ধরার ফাঁদ কেনা-বেচার ধুম

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত : ১১:২৯ পিএম, ৫ জুলাই ২০২০ রবিবার | আপডেট: ১১:৩০ পিএম, ৫ জুলাই ২০২০ রবিবার

বর্ষাকাল মানেই খাল বিলে থৈ থৈ পানি। টানা ভারি বৃষ্টিপাতে নদী নালা সহ খাল বিল গুলো ফিরে পায় নতুন এক টইটুম্বুর যৌবন। ঠিক তেমনি নওগাঁর ধামইরহাটে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে বাড়ছে পানির গতি সাথে নিম্নাঞ্চল এলাকার তিন ফসলি জমি গুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় বাছড়ে মাছ শিকারীদের আনাগোনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রবিবার উপজেলার সর্ববৃহৎ সাপ্তাহিক হাটে দুর দুরান্ত থেকে বাঁশ দিয়ে হাতের তৈরী খৈলসান (বৃত্তি), ভাইড় (চোকা) পলই সহ কারেন্ট জাল বেচা কেনার চলছিল ধুম। দেশীয় মাছের স্বাদ আর মহামারীতে বাড়িতে বসে অবসর সময় কাটাতে গ্রামের খাল, বিল ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ শীকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষেরা। সেই সাথে ওইসব মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রির বাড়ছে ধুম। আর ওসকল ফাঁদ তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারীগর ও তাদের পরিবার। বাঁশ কেনা, বাঁশ কাটা থেকে শুরু করে শলাকা তৈরী ও ফাঁদ বোনাতে দিনের শুরু থেকে সন্ধা অবদি কেটে যাচ্ছেন তাদের সময়।

এবিষয়ে খৈলশুন ও ভাঁইড় কারীগর মাহাবুব আলম জানান, একটি ভালো জাতের বাঁশ থেকে কমপক্ষে ২-৩ টি খৈলশুন বানানো যায়। আর প্রতিটি খৈলশুনের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও ভাঁইড় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মুল্যে বিক্রয় করছেন তিনি। চারিদিক পােিনতে থৈ থৈ করায় এই সময়ে তাকে খুব ব্যস্থ সময় পার করতে হ”্ছে তবে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে যথেষ্ট ভাবে সহযোগীতা করেন এসব তৈরীতে। এবং বর্তমানে তার সংসার ও ভালো ভাবে চলছেন ওসব তৈরীর টাকায়।

এবিষয়ে একজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বর্ষাকালে এসব ফাঁদের দাম একটু বেশি সে কারণে শখের বসে মাছ শিকারের জন্য খৈলশুন কিনতে আসলে তাকে অনেক বেশি মুল্যে কিনতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে হাট কর্তপক্ষদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বছরের এই সময়গুলোতে এসকল সরঞ্জামগুলোর দাম একটু বেশিই থাকে। তবে যেভাবে বৃষ্টিপাত বাড়ছে তাতে করে আরো এসবের চাহিদা বাড়তে পারেন বলে মনে করছেন তারা।

আরকে//