ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মৃদু উপসর্গের কোভিড রোগীরা যেসব নিয়ম মানবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ৬ জুলাই ২০২০ সোমবার

করোনা আক্রান্ত হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, এমনটা কিন্তু নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গের করোনা আক্রান্তরা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে থাকবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের বেশ কিছু নিয়মনীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের কফ, শ্বাসকষ্ট, পেশি-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথা, ক্লান্তি, মাথার যন্ত্রণা, গলাব্যথা, স্বাদ ও গন্ধহীনতা ইত্যাদি নেই তারাই উপসর্গহীন। কিন্তু তাদের সর্দিকাশির সঙ্গে জ্বর থাকছে, তবে তেমন প্রবল নয়। এর সঙ্গে শরীরে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। উপসর্গহীনদের তেমন কোন চিকিৎসা নেই। তবে মৃদু উপসর্গযুক্ত কোভিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাড়িতে থাকার পাশাপাশি ঘরোয়া চিকিৎসা এবং ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গহীন রোগীরা হোম আইসোলেশনে কী কী ব্যবস্থা নিবেন, এবার তা জেনে নিন...

* সর্বক্ষণের জন্য একজন ‘কেয়ারগিভার’ রাখা জরুরি। যিনি আপনাকে প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে পারবেন। 

* অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। থাকতে হবে পালস অক্সিমিটার, ডিজিটাল থার্মোমিটার, পিপিই। এছাড়া করোনাকালীন অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জিনিসপত্র।

* হোম আইসোলেশন কেবলমাত্র ৫০ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গর্ভবতী মহিলাদের কোনওভাবেই হোম আইসোলেশনে রাখা যাবে না।

* যে কোভিড আক্রান্তের হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, থাইরয়েড সমস্যা রয়েছে তারা উপযুক্ত চিকিৎসাসহ হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। কিন্তু ক্যান্সার, কিডনির সমস্যা, হার্টের রোগ, এইচআইভি পজিটিভ, যক্ষায় ভুগছেন এমন কোভিড আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে রাখা যাবে না।

* সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয় সেগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এ জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া এবং গার্গল করা করা যেতে পারে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

* যদি আপনার কফ জমে থাকে, বসার সময় পিঠে ভর দিয়ে হেলান দিয়ে না বাসাই ভালো। মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। এতে কফ কিছুটা হালকা হয়ে আসতে পারে। কফ হালকা করার জন্য এক চামচ মধু খেতে পারেন। এতে উপকার হতে পারে। তবে বারো বছর বয়সের নিচে বাচ্চাদের মধু দেবেন না।

* হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড আক্রান্তের সঙ্গে দেখা করতে কেউ আসতে পারবেন না। তবে দূর থেকে রোগীকে আনন্দে রাখা, সাহস দেওয়ার কাজটা করতে পারেন আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীরা। অকারণে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না, চিন্তামুক্ত থাকতে পারলে সহজেই জয় করা যাবে কোভিড-১৯ ভাইরাসকে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এএইচ/