ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

হাসপাতালগুলো দায় এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৪ পিএম, ৬ জুলাই ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৬:০৯ পিএম, ৬ জুলাই ২০২০ সোমবার

হাসপাতালে ভর্তি না কের রোগী ফেরৎ দিলে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দৌড়াতে দৌড়াতে রোগী মারা গেলে সে দায় হাসপাতালগুলো এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি  বলেন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য। সেখান থেকে রোগী ফেরত দেয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়। চিকিৎসা দিতে না পারলে তারা রোগীকে পরামর্শ দিতে পারে, অন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়াকে এ পরিস্থিতিতে আমি মনে করি এটি অপরাধ এবং এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়াতে দৌড়াতে রোগীর মৃত্যুর দায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো কোনোভাবেই এড়াতে পারেনা।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর মন্তব্য- ‘আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই মাঠে আছে, ত্রাণ দিচ্ছে’ এর জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারাদেশের মানুষ দেখছে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে মাঠে না গিয়ে আইসোলেশনে থেকে টিভিতেই বক্তব্য দেয় বিএনপি।

বিএনপি নেতা রিজভীর সাম্প্রতিক নানা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ‘আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে চাই না এবং তা উচিতও নয়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশের মানুষের চোখ-কান আছে, তারা দেখতে পাচ্ছে, কারা মাঠে আছে, কারা ত্রাণ দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২৫  লক্ষের বেশি পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৭ কোটি মানুষ ত্রাণ এবং অন্যান্য সহায়তার আওতায় এসেছে। এগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট।'

নাম উল্লেখ না করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে বসে ভিডিও কনফারেন্স করে দুনিয়ার কথা বলেন, সেটা টেলিভিশনেই দেখা যায়। অপরদিকে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করছে বিধায় অনেক এমপিসহ বহু নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, অনেক নেতা ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তারা সবাই মাঠে ছিল। । সুতরাং আমরা যে কথাগুলো বলেছি সেটি যে সত্য, তা দেশের মানুষ বুঝতে পারে। আর মিথ্যা বলাই যাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য, তারা ক্রমাগত মিথ্যাই বলবে, এটিই স্বাভাবিক।'

করোনা পরিস্থিতিতে বগুড়া ও যশোরের দু’টি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে কি না- এমন প্রশ্নের  জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, তারা স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এর ভালো ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবেন। যদিও ঢাকা আর বগুড়া কিম্বা যশোরের পরিস্থিতি এক নয়, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মানুষ যে কিছুটা উদ্বিগ্ন সেটাও ঠিক। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়ও আছে। সেকারণেই তারা নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এ প্রেক্ষাপটে আরো কি করা যেতে পারে, কি করা প্রয়োজন সেটি নির্বাচন কমিশনই ভালো বলতে পারবে।

আরকে//