ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

সাংবাদিক রাশীদ উন নবী বাবুর অবস্থা সংকটাপন্ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩০ এএম, ৭ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

ক্যান্সার আক্রান্ত দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক এ কে এম রাশীদ উন নবী বাবুর শারীরিক অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনি পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অকার্যকর হতে শুরু করেছে। বর্তমানে তিনি অচেতন অবস্থায় আছেন বলে জানা গেছে।

সাংবাদিক রাশীদ উন নবী বাবুর চিকিৎসক, দেশের বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, উনার বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। ইতিমধ্যে লিভার, কিডনি এবং ফুসফুস ফেইলিওর হয়ে গেছে। তাকে ৪/৫ লিটারের মতো হাই ফ্লো অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। অক্সিজেন সেচুরেশন ভালো হলেও সাড়াশব্দ তেমন নেই। তবে কাছে গিয়ে স্পর্শ করলে হালকা চোখ মেলে তাকানোর চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, কয়েকবার কভিড টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। আমি প্রতিদিন তাকে দুই-তিনবার সশরীরে দেখে আসছি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি। আমাদের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্টাফরাও যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এখন সকলের দোয়াই কাম্য।

সাংবাদিক রাশীদ উন নবী বাবুর মেয়ে ফারাহ আনিকা অনন্যা বাবার ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছেন, ডাক্তার এর মতে বাবার হাতে বেশি সময় নাই। কেউ চাইলে বাবাকে দেখে যেতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে সাংবাদিক বাবুর অগ্নাশয়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে প্রথমে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে চিকিৎসা চলে। এরপর মে মাসে তাকে ভারতের তামিলনাড়ুর ভোলোরের ক্রিশ্চিয়ান মিশনারি হাসপাতালে (সিএমসি) নেওয়া হয়। সেখানে একমাস চিকিৎসার পর তাকে মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দুই মাস কেমোথেরাপি দেওয়ার পর তার অস্ত্রোপচার হয়।

চিকিৎসা শেষে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ ফিরলেও শারীরিক অবস্থার ততোটা উন্নতি হয়নি বরং ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ শারীরিক মারাত্মক জটিলতা তৈরি হলে গত দুই মাসে চারবার তাকে বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাংবাদিক রাশীদ উনি নবী বাবু বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ৪৫ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে তিনি দৈনিক বাংলা, বাংলার বাণী, দেশ বাংলা, আজকের কাগজ, ইত্তেফাক, সমকাল, আমার দেশ, যুগান্তর, এনটিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইনকিলাব, সাপ্তাহিক পূর্নিমা সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দৈনিক সকালের খবরের সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক আমার দিন পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এসএ/