ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

হিলিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ঘর উপহার দিল সেনাবাহিনী 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৭ পিএম, ৮ জুলাই ২০২০ বুধবার

দিনাজপুরের হিলিতে প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারকে পাকা টিনশেডের ঘর উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে উপহার স্বরুপ তাকে এই ঘর প্রদান করা হয়। 

বুধবার দুপুরে হাকিমপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স কার্যালয়ে মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সফুরা বেওয়ার হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ১৬ পদাতিক ব্রিগেডের ৪ হর্স ইউনিটের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মামুনুর রহমান সিদ্দিকী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ব্যায়ে হিলির ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারকে এই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়।

এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম, পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধ সন্তান কমান্ডের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ অনেকে।

ঘর পেয়ে সফুরা বেওয়া বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে টিনশেড ঘর পেয়ে আমরা খুব খুশি। ছেলে মেয়েদের নিয়ে মাথা গোজার ঠাই হলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এমন মহৎ উদ্যোগে আমাদের মতো অসহায় পরিবারের সহায় হয়ে দাড়াবে। সেনাবাহিনী তার পরিবারের জন্য যা করেছেন তার জন্য চির কৃতজ্ঞ থাকবো। এ ধরনের কর্মকান্ডের জন্য সেনাবাহিনীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। 

সেনাবাহিনীর ৪ হর্স ইউনিটের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মামুনুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের যারা মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য আছেন, তারা আমাদের সেনাবাহিনীর গর্ব। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার নিদর্শন স্বরুপ আমাদের এই একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস তাদের জন্য গৃহনির্মাণ করা। আমাদের সেনাপ্রধানের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় আমাদের যারা গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য আছেন তাদের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে হিলিতে মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যের পরিবারের নিকট গৃহনির্মান করে তার চাবি হস্তান্তর করেছি। এ পর্যন্ত আমরা ১৪টি মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যের পরিবারের জন্য ঘর নির্মান করে তার চাবি তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি।  

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মক্তিযুদ্ধে এই সেনাসদস্যদের অবদানের কোন প্রতিদান হয়না। তবু রাষ্ট্র এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের প্রতি সামান্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিমিত্তেই সেনাপ্রধান এই প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আশা করছি আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুটা হলেও বীর মুক্তিযোদ্ধারের পাশে দাড়াতে পারবো ও এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 
কেআই/