৬ মুসলিম দেশের বিমানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ
প্রকাশিত : ০৩:২৬ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৩:২৬ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৭ বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ৬ মুসলিম দেশের বিমানে ল্যাপটপসহ প্রায় সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ওই সমস্ত দেশের নাগরিকরা এখন থেকে ফ্লাইটে ল্যাপটপ, আইপ্যাড এবং লাগেজের মধ্যে ক্যামরাসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বহন করতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতির শিকার হবে ওই সব রুটে চলা বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইট। প্রভাব পড়বে বাংলাদেশি যাত্রীদের উপরও।
যুক্তরাষ্ট্রের এবার পর মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশসহ উত্তর আফ্রিকার ৬ দেশের নাগরিকদের জন্য নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাজ্য। সেসব দেশের নাগরিকরা এখন থেকে দেশটির কোনো ফ্লাইটে ল্যাপটপ, আইপ্যাড এবং লাগেজের মধ্যে ক্যামরাসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বহন করতে পারবেন না।
তালিকায় থাকা দেশগুলো হচ্ছে তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিসর, তিউনিসিয়া ও সৌদি আরব। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইজিজেট, জেট-২, মোনার্ক, টমাস কুক, টমসন, অ্যাটলাস-গ্লোবাল, পেগাসাস, ইজিপ্ট এয়ার, রয়্যাল জর্ডানিয়ান, মিডল ইস্ট এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, টার্কিশ এয়ারলাইন্স ও তিউনিসায়ার- মত বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইটে।
বিমান যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বৃটিশ সরকার। তারা এসব দেশ থেকে আসা এয়ারলাইন্সকে বিষয়টি কার্যকর করতে ৪ দিন সময় দিয়েছে ।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, কাতার, জর্ডান, কুয়েত ও মরক্কো। ওই দেশগুলোর ১০টি বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিরতিহীন ফ্লাইটগুলোতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে। সেগুলো হলো জর্ডানের আম্মানে কুইন আলিয়া বিমানবন্দর, মিসরের কায়রো বিমানবন্দর, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আতাতুর্ক বিমানবন্দর, সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও রিয়াদের কিং খালিদ বিমানবন্দর; কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মরক্কোর কাসাব্লাংকার পঞ্চম মোহাম্মদ বিমানবন্দর; কাতারের দোহায় হামাদ বিমানবন্দর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দর ও আবুধাবি বিমানবন্দর।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রে লুকানো বোমা ব্যবহার করে কেউ যেনো বিস্ফোরণ ঘটাতে না পারে তাই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে দেশ দুটোতে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় যারা ওই এয়ারলাইন্সগুলো ব্যবহার করবেন, তাদেরও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে হবে।