ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ইস্তাম্বুলের সোফিয়া হাগিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরে বিভিন্ন দেশে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৮ এএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪৯ এএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার

ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত জাদুঘর হাজিয়া সোফিয়া। যেটাকে এখন মসজিদ ঘোষণা করা হয়েছে- ব্রিটানিকাডটকম

ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত জাদুঘর হাজিয়া সোফিয়া। যেটাকে এখন মসজিদ ঘোষণা করা হয়েছে- ব্রিটানিকাডটকম

ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত জাদুঘর হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে পরিণত করার ঘোষণায় নিন্দা জানিয়েছে তুরস্কের বিশ্বস্ত বন্ধ রাষ্ট্র রাশিয়া। রাশিয়া ছাড়াও বিভিন্ন দেশও এ কাজের নিন্দা জানিয়েছে। শুক্রবার তুরস্কের আদালত হাজিয়া সোফিয়া’র জাদুঘর মর্যাদা নাকচ করে দেওয়ার এক ঘণ্টা পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান সেটিকে মসজিদ করার ঘোষণা দেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি ও আল জাজিরা’র।

দেশটির আদালতের এমন রায়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চ এর নিন্দা জানিয়েছে। রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির উপ-প্রধান ভ্লাদিমির ঝাবারভ তুরস্কের এই সিধান্তকে ‘ভুল’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটিকে মসজিদে পরিণত করায় এতে বিশ্ব মুসলিমদের জন্য কিছু করা হবে না। এতে বিভিন্ন দেশগুলোকে এক নয় বরং এতে করে সংঘর্ষ নিয়ে আসে।’

এছাড়া সাইপ্রাস তুরস্কের এই রায়ের কড়া নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিকদায়বদ্ধতার প্রতি তুরস্ককে শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান করে। সেইসঙ্গে ইউনেস্কো জানিয়েছে, তারা হাজিয়া সোফিয়ার মর্যাদা পর্যালোচনা করে দেখবে। এজন্য তারা তুরস্ককে একটি সংলাপে বসার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ফাতিহ সুলতান মেহমেত ১৪৫৩ সালে তখনকার কনস্টান্টিনোপল দখল করে এই চার্চটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। ৪০০ বছর ধরে মসজিদ থাকবার পর, ১৯২০ সালে আধুনিক তুরস্কে এটিকে জাদুঘর হিসাবে রূপ দেয়া হয়। তারপর ৮০ বছর ধরে মুসলমান ও খৃস্টান সম্প্রদায় মিলেমিশে এই প্রার্থনালয়কে জাদুঘর হিসাবেই মেনে নেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার নির্বাচনী প্রচারণায় সোফিয়া হাগিয়াকে আবারও মসজিদে পরিবর্তিত করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন।

এমএস/