ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সর্বোচ্চ সংক্রমণে ভারতে ৮ লাখ ছাড়াল আক্রান্ত  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:১৮ পিএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার

করোনা সংক্রমণে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় যেন নেমেছে ভারত। টানা চারদিন রেকর্ড আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। এতে করে করোনা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণহানি ২২ হাজার পেরিয়েছে। তবে, আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই সুস্থতা লাভ করেছেন।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ১১৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। একদিনে আক্রান্তের নিরিখে যা সর্বোচ্চ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)। 
 
একইসময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৫১৯ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ১২৩ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৬ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

উদ্বেগের কথা হলো আক্রান্ত ৭ থেকে ৮ লাখে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র চার দিন। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে করোনাক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষে পৌঁছাতে ১১০ দিন সময় লেগেছিল, আর সেই সংখ্যা ৮ লক্ষের বেশি হতে সময় লেগেছে মাত্র ৫২ দিন। 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। 

এদিকে শুক্রবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭ হাজার ৮৬২ জন। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬১ জনে। মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৮৯৩ জনের। অবস্থা বেগতিক দেখে আগামী ১৩ জুলাই থেকে ১০ দিনের কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। 

তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার ২৬১ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৮২৯ জনের। 

রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৩শ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৯ হাজার ১৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। 

এদিকে, উত্তরপ্রদেশে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত ফের কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজারের বেশি মানুষর করোনার শিহার হয়েছেন। তবে ২২ হাজারের বেশি রোগী বেঁচে ফিরেছেন। সেখানে মোট প্রাণহানি ঘটেছে ৯শ জনের। 

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও, হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৮৪ হাজার ২৫৩ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৮৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৫ লাখ ১৫ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। যেখানে বেঁচে ফেরার হার ৬২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এআই/এমবি