ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

টাইটানিকের চেয়েও ২০ গুণ বড় জাহাজ! (দেখুন ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৮ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার

‘টাইটানিক’ ছবির বদৌলতে টাইটানিক জাহাজের নাম একসময় মানুষের মুখে মুখে ছিল। সেই সময় টাইটানিক ছিল পৃথিবীর একমাত্র বড় জাহাজ। কিন্তু সেই দিন বদলেছে, আধুনিক প্রযুক্তি এসেছে। এখন টাইটানিকের চেয়ে বড় জাহাজের অভাব নেই। কিন্তু টাইটানিকের চেয়ে ২০ গুণ বড় জাহাজ! এটা এখন কল্পনা নয়, বাস্তব।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই জাহাজটির নাম ‘হারমনি অব দ্য সিজ’। এ জাহাজটি টাইটানিকের চেয়ে ২০ গুণ বড়। একসময় যা ছিল মানুষের কাছে কল্পনা, আজ সেটাই বাস্তব। জাহাজ ‘হারমনি অব দ্য সিজ’কে এখন বলা হচ্ছে ‘ভাসমান মহানগরী’। জাহাজটি এতই বড়, যার ভেতর আধুনিকতার কোন কমতি রাখা হয়নি।

বিশ্বে এ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বড় ও ভারী জাহাজ এটি। ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন বন্দর থেকে চোখ ধাঁধানো ‘হারমনি অব দ্য সিজ’ এর উদ্বোধন করা হয়।

হারমনি অব দ্য সিজ যেন সমুদ্রের মধ্যে আরেক পৃথিবী। ভূমধ্যসাগর বা ক্যারিবিয়ানে ছুটিছাটায় সবচেয়ে বেশি বিনোদন দিতে জাহাজটি আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি। ১ হাজার ১৮৭ ফুট লম্বা ও ২৩০ ফুট উচ্চতার জাহাজটি ৬ হাজার ৭৮০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম।

জাহাজটির নির্মাণে কাজ করেছেন মোট ২ হাজার ৫০০ শ্রমিক। রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল নৌবহরের ২৫তম জাহাজ ‘হারমনি অব দ্য সিজ’। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড। এই জাহাজের প্রথম বিশেষত্ব হল যাত্রী ধারণক্ষমতা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ভ্রমণ জাহাজ এটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জেট এয়ারবাস এ৩৮০-তে সিটের সংখ্যা ৫২৫টি। এর চেয়েও দশগুণ বেশি যাত্রী বহন করতে পারে ‘হারমনি অব দ্য সিজ’। 

দ্রুততার দিক থেকে জাহাজটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে ছোটে। ‘হারমনি অব দ্য সিজ’ জাহাজে রয়েছে মোট ১৮টি ডেক। এর মধ্যে ১৬টি ডেকে রয়েছে ২ হাজার ৭৪৭টি কেবিন। যা বর্তমানে যে কোনো জাহাজের চেয়ে অনেক বেশি। এটি এত বড় যে যাত্রীরা যাতে হারিয়ে না যান, সে জন্য তাদের জিপিএস অর্থাৎ গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হয়।

জাহাজটির দুটি তলা নিয়ে বিস্তৃত জাহাজের সিগনেচার রুম, এটি ‘রয়েল লফট স্যুট’ নামে পরিচিত। রয়েল লফট স্যুটের প্রথম তলায় রয়েছে ১ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের লিভিং স্পেস। অন্যদিকে ৮৭৪ স্কয়ার ফুটের দ্বিতীয় তলাটি শহরের যে কোনো অ্যাপার্টমেন্টের চেয়েও অনেক বড়।

আধুনিক সুবিধার সবই আছে এখানে। রয়েছে সুইমিং পুল, প্লেইং রুম, বার, রয়েছে রেস্টুরেন্ট, টি রুম, নানা রঙের অনেকগুলো ফোয়ারা, বাচ্চাদের খেলার অনেক ইভেন্ট, বিশাল বড় বাথটাব, ফুট কোর্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। কোন কিছুর বাদ রাখা হয়নি জাহাজটিতে। 

এএইচ/এমবি