ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

যৌন হয়রানির অভিযোগে পৌর কাউন্সিলরসহ গ্রেফতার ৪ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ সোমবার

চাঁদাবাজি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে নওগাঁ পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

সোমবার সকালে নওগাঁ শহরের খাস-নওগাঁ এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন, পৌর সভার খাস-নওগাঁ এলাকার বাসিন্দা রাসেল রহমান, রায়হান আলম ও সিফাত হৃদয়। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা রিপন ও তাঁর স্ত্রী শান্তনা খাতুন সাত-আট মাস ধরে নওগাঁ পৌরসভার খাস-নওগাঁ এলাকায় একটি বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। রিপন শহরের একটি পোশাকের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে নওগাঁ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজ নেতৃত্বে স্থানীয় সাত-আটজন যুবক রিপনের ভাড়া বাসায় যান। 

তাঁরা দাবি করেন, রিপন ও শান্তনা প্রকৃত স্বামী-স্ত্রী নন। বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই তাঁরা ওই বাসায় এক সঙ্গে বসবাস করছেন। এসময় তাঁরা রিপনের স্ত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এক সময় বিষয়টি মীমাংসার জন্য কাউন্সিলর বনরাজ রিপনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। রাতের মধ্যে মুঠোফোনের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করতে বলে তারা  রিপন ও তাঁর স্ত্রীর ফ্লাটে বাইরে থেকে তালা মেরে যান। 

সোমবার সকাল ১০টার দিকে রিপনের বাসায় চাঁদার টাকা হস্তান্তর হওয়ার কথা ছিল। রিপনের স্বজনদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাউন্সিল বনরাজ ও তাঁর সঙ্গী রাসেল, রায়হান এবং হৃদয়কে আটক করেন। পরে চাঁদাবাজি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে রিপন কাউন্সিলর বনরাজসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। 

ভুক্তভোগী রিপন মণ্ডল বলেন,‘দুই বছর আগে শান্তনার সঙ্গে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাঁর বিয়ে হয়। অথচ গতকাল রাতে কাউন্সলর ও তাঁর সঙ্গীরা আমার বাসায় এসে দাবি করেন, আমরা নাকি অবৈধভাবে বসবাস করছি। তাঁরা আমার স্ত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। একপর্যায়ে কাউন্সিলর বনরাজ এলাকার ছেলেপেলেদের পিকনিক (ভোজ) খাওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে বলেন।

নওগাঁ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, চাঁদাবাজি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ভুক্তভোগী রিপন দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৮, ৩২৩ ধারায় মামলা করেছেন। কাউন্সিল বনরাজসহ গ্রেফতার চার ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 
কেআই/