ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় করবে এই মাস্ক!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২০ বুধবার

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায় করোনাভাইরাস। তাই এই পরিস্থিতিতে মাস্কের ব্যবহার সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠেছে। ঘর থেকে বের হলে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। নিজেকে ও অন্যকে নিরাপদ রাখতে মাস্ক পরা জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়েছে ফেস মাস্কের। হিড়িক পড়েছে মাস্ক কেনার। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন ধরনের মাস্ক উদ্ভাবনের। 

এবার এই উদ্ভাবনী প্রচেষ্টায় যুক্ত হলো কানাডার টরোন্টো ইউনিভার্সিটির একদল বিশেষজ্ঞের তৈরি তিনস্তর বিশিষ্ট অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রলেপ দিয়ে প্রস্তুত করা মাস্ক। আর এই মাস্ক ৯৯ শতাংশ ভাইরাস নিমিষের মধ্যেই নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।

নতুন ধরনের এই মাস্কের কার্যকারিতা ইতিমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির জন্য দায়ী নভেল করোনাভাইরাসের (SARS-CoV-2) ৯৯ শতাংশ নিষ্ক্রিয় করে ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখবে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রলেপ দেয়া এই মাস্ক।

ওই মাস্কের উৎপাদক আইথ্রি বায়োমেডিকেল করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই তিনস্তর বিশিষ্ট এই মাস্কে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আলাদা ফিল্টারিকরণ ব্যবস্থা থাকবে। যার মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হবে। পাশাপাশি পাঁচ বছর পর্যন্ত টিকে থাকবে এই বিশেষ মাস্ক। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি করোনা প্রতিরোধী ড্রেসিং সামগ্রী, মেডিকেল টেপ, গ্লাভস, হেডঅয়্যার, গাউন ও পিপিই প্রস্তুত করার ঘোষণা দিয়েছে।

আরও জানানো হয় যে, প্রথমধাপে শুধুমাত্র করোনা মোকাবিলার সামনের সারিতে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এই করোনা প্রতিরোধী মাস্কসহ সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হবে। এর পর তারা সাধারণ জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে উৎপাদনে যাবে।

উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটির সিইও পিয়েরে জ্য মেসিয়ার জানিয়েছেন, ‘বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, এই বিশেষ মাস্কের সংস্পর্শে আসলে ৯৯ শতাংশ করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। তার মানে, এই মাস্ক ব্যবহারকারী করোনা আক্রান্ত হওয়া থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকছেন।’

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বের এক কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ৯৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩২৩ জনের।

এএইচ/এমবি