ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সিআরপি এখন কাজ করছে ১১৫টি উপজেলায়

প্রকাশিত : ০৭:১৬ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:০৮ এএম, ৮ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার

মিস ভেলোরি এ টেইলর। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধীদের সেবায় দৃষ্টান্ত মার্কিন এই নারী। সাভারের চাপাইনে অবস্থিত তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে অসংখ্য মানুষ থেরাপী নিয়ে সুস্থ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন স্বাভাবিক জীবনে। ১৯৭৯ সালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিত্যক্ত গোডাউনে মাত্র চারজন রোগী নিয়ে শুরু করে সিআরপি এখন কাজ করছে ১১৫টি উপজেলায়।

১৯৬৯ সালে চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে বাংলাদেশে এসে আর ফিরে যাননি মার্কিন নাগরিক ভেলোরি এ. টেইলর। এরপর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে সেবা দিতে শুরু করেন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের। পরে নিজেই ১৯৭৯ সালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত গোডাউনে মাত্র চারজন রোগী নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজ্ধসঢ়;‌ড-- সিআরপি।

এখন সিআরপির আউটডোরে প্রতিমাসে গড়ে পাঁচ হাজার রোগী ফিজিওথেরাপি এবং এক হাজার রোগী পাচ্ছেন অকুপেশনাল থেরাপী। প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রয়েছে প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য। এ প্রতিষ্ঠান থেকে অসংখ্য মানুষ থেরাপী নিয়ে সু¯্য’ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন স্বাভাবিক জীবনে।

১৯৯০ সালে সাভারে ১৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় সিআরপি’র প্রধান কার্যালয়। রোগীদের আর্থিক অবস্থা বুঝে চিকিৎসার খরচ নেয়া হয়। দরিদ্র রোগীদের দেয়া হয় বিনা খরচেই চিকিৎসা সেবা।

এই প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় অসংখ্য প্রতিবন্ধী মানুষ শিখে নিচ্ছেন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার পাঠ। ভেলোরির মতো মানব সেবায় অন্যরাও এগিয়ে এলে অসহায় মানুষ পাবে বেঁচে থাকার প্রেরণা-এমনটাই আশা সবার।