ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

কোরবানির হাট : করোনা ছড়ানোর নতুন উদ্বেগ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০১:১৯ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবে পশুর হাট। তবে মহামারি করোনায় এবার রাজধানীসহ সারাদেশেই কমেছে হাটের সংখ্যা। এদিকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য-বিধি না মানলে করোনা সংক্রমণ ভায়াবহ রূপ নেবে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে  মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসিয়ে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মানানো অসম্ভব। গত রোজার ঈদেও দোকানপাট খোলার সময় একই কথা বলা হয়েছে। ব্যক্তিগত পরিবহণের নামে মানুষকে ঢাকা ছাড়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এর কারণে ঈদের পরে করোনার প্রাদুর্ভাবও বাড়তে শুরু করে। এবার খোলা মাঠে গরুর হাট বসানো হলে আরো বড় সর্বনাশ হতে পারে বলে মনে করেন তারা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গ্রামীণ অর্থনীতির সাথে কোরাবানির পশুর হাটের একটা যোগ আছে। বাংলাদেশের চামড়া শিল্পও অনেকটা নির্ভরশীল কোরাবানির ওপরে। তাই দুই দিক রক্ষা করতে এবার কোরাবনির পশুর হাটের জন্য অনলাইন হাট এবং ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়া উচিত।

মহামারির এই সময়ে হাটগুলোতে পশু স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কাজ করবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের টিম। মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী জানালেন, এবার কঠোরভাবেই পশুর হাট মনিটরিং করা হবে। অসুস্থ পশু থাকলে হাট থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। ভাইরাসের সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্যনিয়ম ও দুরত্ববিধি মানা বাধ্যতামুলক করার পরামর্শ মন্ত্রীর।

এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম একুশে টেলিভিশনকে জানান, দেশের প্রতিটি হাটে মন্ত্রণালয়ের টিম থাকবে। অসুস্থ পশু শনাক্তকরণে কাজ করবে তারা। চাহিদা অনুযায়ী দেশে পর্যাপ্ত পরিমান কোরবানীর পশু আছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার এ বি এম আবদুল্লাহও জানান, পশুর হাটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য নিয়ম মানতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে অনলাইনেই পশু কেনার পরামর্শ তাদের।

এ নিয়ে গণমাধ্যমকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রমণ রোগ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিচালক ডা. শাহনিলা ফেরদৌস বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি তো একটা রয়েছে। অধিদপ্তর ইতোমধ্যেই সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংক্রমণ রোধে ৬২ পাতার একটি নির্দেশনা দিয়েছে। যেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে আলাদা করে বলে দেয়া আছে। যেমন স্কুল, মসজিদ, অফিস, কাঁচাবাজার, বিনোদন কেন্দ্র এগুলো সম্পর্কে আলাদা করে। তবে পশুর হাট যেহেতু খোলা জায়গায় অস্থায়ী একটি ব্যবস্থা, সেটার জন্য আমরা আলাদা করে চিন্তা করে একটা পরিকল্পনা করছি।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন জানান, ‘কোরাবানির পশুর হাটের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ একটি গাইডলাইন তৈরি করছে। চূড়ান্ত হলে সেটা অনুসরণ করেই পশুর হাট বসবে। আমাদের নিজস্ব টিম এবং মোবাইল কোর্ট থাকবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানা হয়।’
এসএ/