ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সব রেকর্ড ভেঙে ভারতে শনাক্ত ১০ লাখ ছাড়াল 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কার বাস্তব প্রতিফলন দেখছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। যেখানে গত একদিনে অতীতের সব সংক্রমণের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এদিন করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৫ হাজার মানুষের দেহে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ২৫ হাজারের বেশি ভারতীয়।  

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৯৫৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)। 

দেশটিতে প্রথম পাঁচ লাখে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ১৪৯ দিন। অথচ, পরের পাঁচ লাখ হতে সময় নেয় মাত্র ২০ দিন। বিশেষ করে শেষ এক লাখে (৯ থেকে ১০) পৌঁছতে সময়ে লেগেছে মাত্র তিন দিন। এর আগের লাখ ছুঁতে সময় লেগেছিল চার দিন। কিন্তু প্রতিদিনের রেকর্ড শনাক্তে আক্রান্তের মিছিল তীব্র হতে থাকে। আগামীতে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। 

অন্যদিকে গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৬৮৭ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৬০২ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি পৌনে ৩০ লাখ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। 

এদিকে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে আট হাজারের বেশি মানুষ। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮৪ হাজারে ২৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ১৯৪ জনের। গত সোমবার (১৩ জুলাই) থেকে এ রাজ্যে ১০ দিনের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে। 
তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৯ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ২ হাজার ২৩৬ জনের। 

রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৫৪৫ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৬৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। 

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৯৪১ জন ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৬ লাখ প্রায় ৩৬ হাজার ভুক্তভোগী। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১ জন। 

এআই/এমবি