ঢাকা, সোমবার   ১৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩১

ব্রাজিলে করোনাক্রান্ত সাড়ে ২০ লাখে ৮০ হাজার মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫১ এএম, ১৮ জুলাই ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৯:৫২ এএম, ১৮ জুলাই ২০২০ শনিবার

ব্রাজিলের উত্তর-পশ্চিম আমাজন রাজ্যের মানাস অঞ্চলে করোনায় মৃতদের একটি গণকবর- সংগৃহীত

ব্রাজিলের উত্তর-পশ্চিম আমাজন রাজ্যের মানাস অঞ্চলে করোনায় মৃতদের একটি গণকবর- সংগৃহীত

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৭৭ হাজার ৯৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত হয়েছে আরও প্রায় ৪৫ হাজার। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে সুস্থ হয়েছেন অর্ধেকের বেশি রোগী। এর মধ্যে গত একদিনেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন লাখের বেশি ভুক্তভোগী। আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। 

শুধু ব্রাজিলই নয় গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোও করোনার ভয়াবহতা দেখছে। ঘটছে প্রতিদিনই রেকর্ড সংক্রমণ। এতে করে করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে এমন অবস্থার মধ্যদিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে। 

এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু ও চিলির মতো দেশগুলো। যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দেশগুলোতে সংক্রমণ এখনও চূড়ায় পৌঁছেনি। অর্থাৎ এই চারটি দেশে আগামীতে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে যাচ্ছে করোনা। স্পেনে ৬৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত রেকর্ড করা হয়েছে। মহামারী মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

সংক্রমণের হারে ৫ম স্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে আক্রান্ত ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৭ জন। যেখানে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৯৯ জন। এ অঞ্চলের আরেক ভুক্তভোগী চিলিতেও সংক্রমণ ৩ লাখ ২৬ হাজার ৫৩৯ জন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৩৪৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। মেক্সিকোয় আক্রান্ত ৩ লাখ ৩১ হাজার ২৯৮ জন। প্রাণ গেছে ৩৮ হাজার ৩১০ জনের। কলম্বিয়ায় ১ লাখ ৮২ হাজার ১৪০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ২৮৮ জন। আর্জেন্টিায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ৩০১। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১৭৮ জনের।

উল্লেখ্য, একদিনে বিশ্বেও করোনার শনাক্ত হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ। এনিয়ে বিশ্বে মোট শনাক্ত এক কোটি ৪১ লাখের বেশি। করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ৬ লাখ। আর সুস্থ হয়েছে ৮৪ লাখের বেশি মানুষ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম মানবদেহে এ ভাইরাস ধরা পড়ে। 
 
এমএস/